Search

অ্যান্ডারসনের বিদায়ী টেস্টে ইংল্যান্ডের বড় জয়

স্পোর্টস ডেস্ক

  • 0
  • 3 views

স্পোর্টস ডেস্ক : 

লর্ডসের লং রুম পেরিয়ে শেষবারের মতো যখন মাঠে নামছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন, পুরো স্টেডিয়ামের দর্শকরা তখন দাঁড়িয়ে। সতীর্থ ও প্রতিপক্ষের ক্রিকেটাররা তাকে দিলেন গার্ড অব ওনার। কিংবদন্তির বিদায় বলে কথা! ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংসেও বল হাতে আলো ছড়ালেন অ্যান্ডারসন। সঙ্গে গাস অ্যাটকিনসনের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে দিল ইংল্যান্ড। অ্যান্ডারসনের বিদায়ী ম্যাচটি তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই জিতেছে ইংলিশরা।

শুক্রবার (১২ জুলাই) তারা ক্যারিবিয়ানদের হারায় ইনিংস ও ১১৪ রানে। প্রথম ইনিংসে ১২১ রানে গুটিয়ে যাওয়া সফরকারীরা দ্বিতীয়ভাগে করতে পারে ১৩৬ রান। আর একমাত্র ইনিংস স্বাগতিকরা করে ৩৭১ রান।

এদিনের প্রথম উইকেট যায় ৪১ বছর বয়সী অ্যান্ডারসনের ঝুলিতে। যে ধরনের ডেলিভারির জন্য তার খ্যাতি দুনিয়াজোড়া, সেরকমই একটি বলে জশুয়া ডা সিলভাকে ফেরান তিনি। একেবারে বোকা বনে যান ক্যারিবিয়ান উইকেটরক্ষক। সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া ফুলার ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। ১৮৮ টেস্টে ২৬.৪৫ গড়ে ৭০৪ উইকেট নিয়ে অবসরে যাওয়া অ্যান্ডারসনের শেষ শিকার হয়ে থাকল এটি। এই ইনিংসে ৩২ রানে তিনি নেন মোট ৩ উইকেট। আগের ইনিংসে ১ উইকেট পেতে খরচ করেন ২৬ রান।

লর্ডসের লং রুম পেরিয়ে শেষবারের মতো যখন মাঠে ঢুকছিলেন অ্যান্ডারসন, গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকরা তখন দাঁড়িয়ে ছিলেন। নিজ দলের ও প্রতিপক্ষের ক্রিকেটাররা এই কিংবদন্তিকে দেন গার্ড অব অনার। ২০ বছরের বেশি সময়ের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংসেও বল হাতে নজর কেড়ে মাঠ ছাড়ার সময় ‘ও জিমি, ও জিমি’ সুরে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা স্টেডিয়াম। টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট অ্যান্ডারসনের দখলে। তার ওপরে আছেন কেবল দুই স্পিনার— শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন ও অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন। ক্রিকেটের কুলীন সংস্করণে এত উইকেট নেই তিনি ছাড়া আর কোনো পেসারের।

দিনের পরের উইকেটগুলো নেন আরেক ডানহাতি পেসার অ্যাটকিনসন। তার শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে বিদায় নেন আলজারি জোসেফ ও জেইডেন সিলস। মাঝে ইয়র্কারে স্টাম্প উড়ে যায় শামার জোসেফের। সব মিলিয়ে অ্যাটকিনসন ১০৬ রানে পান ১২ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৪৫ রানে ৭ উইকেট দখলের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬১ রান খরচায় ৫ উইকেট যায় তার ঝুলিতে। ইংলিশদের হয়ে টেস্ট অভিষেকে তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার এখন অ্যাটকিনসনের। সব দল মিলিয়ে পেসারদের মধ্যে তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগারের মালিকও হলেন তিনি।

সিলসকে ফিরিয়ে খেলার ইতি টানেন ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা অ্যাটকিনসন। এর আগে অ্যান্ডারসনই সুযোগ পেয়েছিলেন ম্যাচ শেষ করার। ২০০৩ সালের মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই লর্ডসেই শুরু করা দেদীপ্যমান ক্যারিয়ারের শেষ বলেও পেতে পারতেন উইকেট। কিন্তু বেঁচে গিয়ে অপরাজিত থেকে যাওয়া গুডাকেশ মোটির তোলা সহজ ফিরতি ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি।

পেসারদের নৈপুণ্যে অনায়াস জয়ে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। ট্রেন্টব্রিজে দ্বিতীয় টেস্ট মাঠে গড়াবে আগামী বৃহস্পতিবার। ওই ম্যাচ দিয়ে কিংবদন্তি অ্যান্ডারসনকে ছাড়াই নতুন করে পথ চলতে হবে ইংলিশদের।

চীন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন রোববার
Prev Post চীন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন রোববার
মাথাঘোরা রোগ
Next Post মাথাঘোরা রোগ

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *