Search

অ্যালার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

  • 0
  • 3 views

লাইফস্টাইল ডেস্ক : 

অল্প অল্প শীত পড়তে শুরু করেছে। আর এ সময় অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে থাকে। এ সময় বৃষ্টি না হওয়ায় ধুলাবালি ও বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে ত্বকে অ্যালার্জি সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া ঠান্ডা লাগা কিংবা সর্দি-কাশি লেগেই থাকে।

অনেকের আবার এই সময়ের অ্যালার্জি মারাত্মক আকার ধারণ করে। এই যেমন আপনি ঘর ঝাড়ু দিচ্ছেন কিংবা ফার্নিচার পরিষ্কার করছেন, এরই মধ্যে হাঁচি ও পরে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।

কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় দূর করা যায়। সেগুলো হলো

নিম পাতা

নিম পাতা ত্বকের যে কোনো সমস্যা সমাধানে অনেক কার্যকর। নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে খোসপাঁচড়া চলে যায়। পোকামাকড় হুল ফোটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষতস্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হয়।

ব্যবহার:

নিমপাতা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এক চা চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ নিমপাতার গুঁড়ো এবং ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি ১ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ১/২ ঘণ্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাতে শোয়ার আগে খান। ইনশা’আল্লাহ এলার্জির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

তুলসী পাতা

কর্পূর সমৃদ্ধ তুলসী পাতা ত্বকের যেকোন ধরণের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি কমাতে সহায়তা করে। তুলসির কাঁচা পাতার রস বা বিচির থেতলানের পর রস কিছুটা গরম করে সংক্রমিত জায়গায় লাগালে এলার্জি ভালো হয়। অথবা খানিকটা আদা ও তুলসি পাতা পানিতে ফুটিয়ে তাতে এক কাপ মধু মিশিয়ে দিনে ৪ থেকে ৫ বার খেলেও উপকার পাবেন।

কলা

অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে কলা খেলে অ্যালার্জির বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কলার চামড়ায় প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি উপাদান বিদ্যমান, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজড্ করে তোলে। ব্রণ দূর করার জন্যও কলার চামড়া ব্যবহার করা হয়।

লেবু

লেবুর রস মেশানো পানি এবং মধু শরীরের জন্য ভারি উপকারি ডিটক্সিফাইং পানীয়। এটি নিয়মিত পান করলে শরীরের টক্সিক পদার্থগুলো বের হয়ে আসবে এবং অ্যালার্জির সমস্যা কমে যাবে। বিশেষ করে লেবুর ভোলাটাইল তেল শরীরের যেকোন রকমের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। লেবু টুকরা করে কেটে নিয়ে চুলকানির স্থানে কিছুক্ষণ ঘষুন, চুলকানি কমে যাবে।

গ্রিন টি

গ্রিন টি-তে বিদ্যমান এন্টি-অক্সিডেন্ট, এন্টি-হিস্টাসিন এলার্জিক প্রতিক্রিয়া হ্রাস করতে সাহায্য করে। এটি চোখে লাল ভাব, র‌্যাশ বেরোনো ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। কফি, কোমল পানীয় ইত্যাদির অভ্যাস পরিহার করুন। এর পরিবর্তে দৈনিক দু-তিন বার গ্রিন টি খান।

আদা

আদা গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল এবং অ্যালার্জির সমস্যা প্রতিরোধ করে। বমি ভাব, মাথা ঘোরানো, হজমের সমস্যা এমনকি ডায়রিয়া নিরাময়েও আদা খুব উপকারি। খানিকটা আদা কুঁচি কুঁচি করে কেটে গরম পানিতে ফুটিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে নিয়মিত খান, এলার্জির বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাবেন।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার

অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে বিদ্যমান অ্যাসিটিক অ্যাসিড এলার্জেনের সংক্রমণকে প্রতিরোধ করে। ১ গ্লাস পানিতে ২ চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে এলার্জি সমস্যা দূর হয়।

অনন্তমূল

অনন্তমূল এক ধরনের লতানো উদ্ভিদ। এতে প্রচুর পরিমাণে স্টেরল, টার্পিন, লুপিয়ল, স্যাপোনিন ও ট্যানিন বিদ্যমান, যা এলার্জেন প্রতিরোধক। এছাড়া গাছের পাতায় ও শিকড়ে টাইলোফিরিন থাকে যা এলার্জিজনিত শ্বাসনালীর প্রদাহসহ অ্যাজমার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

ইউক্যালিপটাস তেল

মাথা যন্ত্রণা, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদির প্রতিকারে এক বাটি গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল নিয়ে তার ভাঁপ নিন। এতে নাক বন্ধ হওয়া, নাকের ভিতরে অ্যালার্জির কারণে কোনো প্রদাহ থাকলে তা থেকেও রেহাই মেলে।

দুগ্ধজাত পদার্থ

খাওয়ার পাতে টক দই, ছানা ইত্যাদি দুগ্ধজাত খাদ্য রাখুন। এদের প্রোবায়োটিক উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। ফলে ধুলোবালির কারণে এলার্জেনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আশঙ্কা কমে।

ঘি

এক চামচ খাঁটি ঘি তুলোয় নিয়ে চুলকানির জায়গায় লাগান, আরাম পাবেন। নিয়মিত ঘি খেলেও ঠান্ডা লাগা বা এলার্জির প্রবণতা কমবে। দ্রুত ফল পেতে, ৫ থেকে ৭ ফোঁটা ঘি নারিকেল কোরায় মিশিয়ে খান।

অলিভ অয়েল

অলিভ অয়েলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ভিটামিন ই যা ত্বককে এলার্জেনের প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা করে।

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে মশ্চারাইজিং ক্ষমতা রয়েছে। চুলকানির জায়গায় এক টুকরা অ্যালোভেরা কেটে ঘষুন, চুলকানি চলে যাবে। অ্যালার্জির কারণে মাঝে মাঝে ত্বকে লালচে দাগ দেখা যায়। এ দাগ দূর করতে গোসলের পানিতে অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে ত্বকে লাগান।

শসা এবং গাজরের রস

তাৎক্ষণিক এলার্জির সমস্যা দূরীকরণে শসা এবং গাজরের রস দারুণ উপকারি। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-এলার্জিক উপাদান বিদ্যমান, যা দেহ কোষগুলোকে এলার্জেনের প্রতিক্রিয়া রুখতে সাহায্য করে।

ক্যাস্টর অয়েল

ক্যাস্টর অয়েল শুধুমাত্র আপনার চুলের সমস্যায় নয়, এলার্জির অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধেও সহায়ক। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে এক কাপ পানিতে ৫-১০ ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে খান।

আপনার শিশুকে ছোট থেকেই সব ধরনের খাবার, ফল ও সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। এর ফলে সে খাদ্যজাত এলার্জির হাত থেকে মুক্ত থাকবে।

সরকার চাইলে কোটা পরিবর্তন করতে পারবে : হাইকোর্ট
Prev Post সরকার চাইলে কোটা পরিবর্তন করতে পারবে : হাইকোর্ট
পেয়ারার স্বাস্থ্য উপকারিতা
Next Post পেয়ারার স্বাস্থ্য উপকারিতা

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *