Search

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করণীয়

  • 0
  • 2 views

হাই প্রেশাস বা উচ্চ রক্তচাপকে বলা হয় নীরব ঘাতক। এর সাধারণত উল্লেখযোগ্য উপসর্গ নেই। উচ্চ রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এমনকি মানুষ এতে মারাও যেতে পারে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে জীবনধারার কিছু পরিবর্তন জরুরি।

রক্তচাপের কোনো একক নির্দিষ্ট মাত্রা নেই। বিভিন্ন বয়সের সঙ্গে সঙ্গে একেকজন মানুষের শরীরে রক্তচাপের মাত্রা ভিন্ন এবং একই মানুষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে স্বাভাবিক এ রক্তচাপও বিভিন্ন রকম হতে পারে। উত্তেজনা, দুশ্চিন্তা, অধিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের ফলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। ঘুমের সময় এবং বিশ্রাম নিলে রক্তচাপ কমে যায়। রক্তচাপের এ পরিবর্তন স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যে পড়ে।

চিকিৎসকদের মতে, শরীরে রক্তচাপ বাড়ার মূল কারণ অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। জীবনযাত্রায় এবং খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন আনতে পারলে ওষুধ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী যেসব উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন-

লবণ কম খাওয়া : উচ্চ রক্তচাপ কমাতে প্রথমেই লবণ খাওয়া কমাতে হবে। কারণ, অতিরিক্ত লবণ রক্তে মিশে সোডিয়ামের মাত্রা বাড়ায় এবং দেহে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। বাড়তে পারে কিডনির সমস্যাও। রান্না ছাড়া, কাঁচা লবণ এড়িয়ে চলুন। সম্ভব হলে, রান্নাতেও যতটা সম্ভব লবণ কম দিন।

 

ব্লাড প্রেসার চেক করুন : বয়স ৪০ পার হওয়ার পর থেকেই নিয়মিত ব্লাড প্রেসার মাপুন। দরকার হলে বাড়িতে মেশিন কিনেও তা করতে পারেন। উচ্চ রক্তচাপ আছে, এমন ব্যক্তিদের জন্য অ্যালকোহল, ধূমপান ও কফি খাওয়া নিষিদ্ধ। ব্লাড প্রেসার বাড়ন্ত হলে শরীরের অন্য কোনো সমস্যা বাড়ছে কি-না, সেদিকে নজর রাখুন।

 

সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার পরিহার : উচ্চ রক্তচাপ কমাতে প্রথমেই লবণ খাওয়া কমাতে হবে। কারণ অতিরিক্ত লবণ রক্তে মিশে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায় এবং দেহে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।

 

এ ছাড়াও বাড়তে পারে কিডনির সমস্যাও। রান্না ব্যতীত কাঁচা লবণ খাওয়া যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। সম্ভব হলে, রান্নাতেও যতটা সম্ভব লবণ কম ব্যবহার করুন। সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কম খাবেন।

মধু : প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ মতে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবচেয়ে উপকারী হল মধু। এক কাপ উষ্ণ গরম পানিতে এক চামচ মধুর সঙ্গে ৫-১০ ফোঁটা আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে খেতে পারলে রক্তচাপ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

 

ডায়েটে রাখুন কলা : কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম যা রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। দিনের যে কোনও সময়েই কলা খাওয়ার চেষ্টা করুন।

 

সবুজ সবজি খাওয়া : অতিরিক্ত তেল আর মশলাদার খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। মশলাদার খাবারের বদলে পাতে বেশি করে রাখুন সবুজ শাক-সবজি। সিদ্ধ বা বা সামান্য তেলে রান্না করা সবজি শরীরে ক্যালোরির মাত্রা ধরে রাখে। ফাইবার সমৃদ্ধ সবুজ সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ফোলেট থাকে। এসব উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে

 

কলা : প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম আছে কলায়। যা রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এজন্য উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা খোদ্য তালিকায় কলা রাখুন।

 

শাক-সবজি : অতিরিক্ত তেল আর মশলাদার খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। মশলাদার খাবারের বদলে পাতে রাখুন সবুজ শাক-সবজি। সেদ্ধ বা সামান্য তেলে রান্না করা সবজি শরীরে ক্যালোরির মাত্রা ধরে রাখে।

 

তরমুজ : তরমুজে রয়েছে লাইকোপিন, পটাসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ফাইবার যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। অ্যামিনো অ্যাসিড এল-সিট্রুলিন সমৃদ্ধ তরমুজ শুধু রক্তচাপ নয়, শরীরের নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

 

কমলালেবু : পুষ্টিবিদদের মতে, কমলালেবুর রসের সঙ্গে ডাবের পানি মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে দিনে ২ থেকে ৩ বার খাতে পারলে রক্তচাপ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

 

পাতে থাক ওটমিল : ওজন কমাতে এবং এনার্জি বাড়াতে ওটসের কোনও বিকল্প নেই। পুষ্টিবিদরা সকালে ওটস খাওয়ারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ওটসে সোডিয়ামের মাত্রা খুব কম, তা ছাড়া রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফাইবার যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

 

ওষুধ চালিয়ে যাবেন: চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনও ব্লাড প্রেসারের ওষুধ বন্ধ করা উচিত নয়। এমনকি প্রেসার নিয়ন্ত্রণসীমার মধ্যে থাকলেও। রোগীকে প্রেসারের ওষুধ দেওয়া হয় সেই ওষুধের কার্যক্ষমতার সময়সীমার ভিত্তিতে।

 

পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ফল: ডায়েটে পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ফলমূল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। ব্লাড প্রেসারের সঙ্গে খাবারের গভীর সম্পর্ক। তাই পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ বশে আনার চেষ্টা করতে হবে।

শসা খেলে মিলবে যেসব উপকারিতা
Prev Post শসা খেলে মিলবে যেসব উপকারিতা
কিডনি সুস্থ রাখতে কি খাবেন আর কি খাবেন না?
Next Post কিডনি সুস্থ রাখতে কি খাবেন আর কি খাবেন না?

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *