লাইফস্টাইল ডেস্ক :
অ্যালোভেরা, মধুর মতো আরও কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যেগুলো ভিটামিন এবং হাইড্রেশন প্রদান করে ত্বককে। উজ্জ্বল ত্বক পেতে এ ধরনের উপাদান ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত। পাশাপাশি সুস্থ জীবনধারাও জরুরি। জেনে নিন উজ্জ্বল ত্বক পেতে কোন কোন উপাদান ব্যবহার করবেন ত্বকে।
১. ত্বকের যত্নে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে অ্যালোভেরা। ভেষজটি ত্বক ময়শ্চারাইজ ও সতেজ করে। ভিটামিন এ, সি, ই, এবং বি ১২ দ্বারা পরিপূর্ণ অ্যালোভেরা ত্বকের কোষ মেরামতে সাহায্য করে, প্রদাহ কমায় এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে ত্বকের।
২. মধু ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ব্রণের ঝুঁকি কমায়।
৩. দই ল্যাকটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ। ত্বক হাইড্রেট রাখে দই। পাশাপাশি নরমভাবে এক্সফোলিয়েট করে এবং ত্বকে সূক্ষ্ম বলিরেখা কমিয়ে দেয় উপাদানটি। ফলে তারুণ্যের উজ্জ্বলতা আসে ত্বকে।
৪. ক্যামোমাইলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং প্রশান্তিদায়ক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রুক্ষ ত্বককে শান্ত করে। এছাড়া ত্বকের লালভাব কমাতে সাহায্য করে এটি। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও সমৃদ্ধ।
৫. গোলাপজলের সাহায্যে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। গোলাপজলে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বকের লালভাব এবং জ্বালা কমায়। এটি ত্বককে হাইড্রেট এবং সতেজ করতেও সাহায্য করে।
৬. চুলের পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও অতুলনীয় নারকেল তেল। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ত্বককে পুষ্টি প্রদান করে ও ময়শ্চারাইজ করে। এটিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
৭. ডালিম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। পরিবেশের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে এটি। কোষের পুনর্জন্মেও রাখে অবদান।
৮. পেঁপে ব্যবহার করতে পারেন উজ্জ্বল ত্বক পেতে। প্যাপেইন নামক একটি এনজাইম রয়েছে পেঁপেতে যা প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করতে সাহায্য করে, ছিদ্র খুলে দেয় এবং ত্বকের গঠন ও টোন উন্নত করে।