নিজস্ব প্রতিবেদক :
ওজন একবার বেড়ে গেলে তা কমানো বেশ ঝক্কির কাজ। এইওমন কমাতে কতজনই না কত কিছু করেন। কেউ হয়তো কঠোর ডায়েট করেন আবার কেউ কেউ জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত চালান। তবে ওজন কমাতে খালিপেটে অনেকেই অনেক কিছু খেয়ে থাকেন। যেহেতু খালিপেট, তাই সতর্ক হয়ে খাওয়াদাওয়া করতে হবে। কিছু আবার খালিপেটে খেলে মুশকিল হতে পারে। আবার কিছু খাবার দিনের প্রথমে খেলে শরীরের বিপাকহার বেশি ভাল কাজ করে।
ওজন কমাতে খালি পেটে খেতে পারেন যেসব খাবার
লেবু পানি : ক্যালোরি কম থাকায় এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান বেশি হওয়ায় লেবু ওজন কমাতে সহায়ক। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করা।
ওটমিল পানি : খাদ্য আঁশ এবং ভিটামিন ও খনিজপুষ্টিসমৃদ্ধ হওয়ায় ওটমিল ওজন কমাতে সহায়ক। ৩-৪ টেবিল চামচ ওটমিল এক গ্লাস পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। এতে আপনি দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধামুক্ত থাকতে পারবেন।
আপেল সিডার ভিনেগার এবং বেকিং সোডা : এই দুটি উপাদান ওজন কমাতে দারুণ কার্যকর। এগুলো ক্ষারীয় এবং এসিডযুক্ত। ভিটামিন এ ও বি, মৌলিক ফ্যাটি এসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজপুষ্টিসমৃদ্ধ। দুই চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার, এক চা চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে এক কাপ পানি মিশিয়ে পান করুন।
মধু : গরম পানিতে লেবুর রস আর মধু খাওয়ার উপকারিতা আমরা অনেকেই জানি। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তারা বিশেষ করে এই পানীয় খালি পেটে খেতে পারেন। রোজ নিয়ম করে এই পানীয় খেলে শরীরের বিপাকহার বাড়বে এবং দ্রুত ওজন কমতে সাহায্য করবে।
পেঁপে : কাঁচা পেঁপে রস করে খাওয়ার যেমন গুণ রয়েছে, তেমনই পাকা পেঁপে খাওয়ারও অনেক সুফল রয়েছে। ঘুম থেকে উঠে যদি খালি পেটে পেঁপে খেতে পারেন, তা হলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। পেঁপের ক্যালোরি অনেকটাই কম। তাই যারা ওজন কমাতে চান, এ দিকে কোনও মিষ্টি ফল খাওয়ার লোভ সামলাতে পারেন না, তারা পেঁপে খান। এতে খাবার হজম হবে তাড়াতাড়ি।
কাঠবাদাম : অনেক বাদাম, ড্রাই ফ্রুট শুকনো খাওয়ার চেয়ে পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেলে তার পুষ্টিগুণ অনেক বেড়ে যায়। তার মধ্যে অন্যতম উদাহরণ হল কাঠবাদাম। খিদে মেটাতে কাঠাবাদামের জুড়ি মেলা ভার। প্রত্যেক দিন সকালে আপনি যদি সারা রাত ভেজানো কাঠবাদাম খালিপেটে খান, তা হলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো অনেক সমস্যা দূরে থাকবে।
দারুচিনি পানি : এই মশলাটি এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহরোধী উপাদানের জন্য পরিচিত। আধা চা চামচ দারুচিনি পাউডার এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।
বন গম : খাদ্য আঁশ, প্রোটিন এবং নানা খনিজপুষ্টি ও অ্যামাইনো এসিডে সমৃদ্ধ বন গম ওজন কমানোর সেরা একটি খাদ্য। এক বাটি বন গম নিয়ে গরম পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে তা ভালোভাবে গুলিয়ে জুস তৈরি করে খারি পেটে খেয়ে ফেলুন।
কাজুবাদাম : ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং জরুরি ভিটামিন ও খনিজপুষ্টিতে সমৃদ্ধ সেরা বাদাম এটি। জলখাবার হিসেবে এক মুঠো কাজুবাদাম অতুলনীয় যদি আপনি ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় রত থাকেন।
তরমুজ : সকালের নাশতার জন্য তরমুজ হতে পারে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। এই ফলে প্রায় নব্বই শতাংশ পানি থাকে। যা শরীরে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে কাজ করে। তরমুজ খেলে শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয়। খালি পেটে তরমুজ খেলে তা ক্যালোরির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করবে। তরমুজ ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ। এতে আছে উচ্চ স্তরের লাইকোপিন। এটি আমাদের হৃৎপিণ্ড ও চোখের জন্য বেশ উপকারী।