নিজস্ব প্রতিবেদক :
শরীর সুস্থ রাখতে কতজনই না কতকিছু করেন! অনেকেই ওজন কমাতে না খেয়ে দিন কাটান কিংবা রাত-দিন শরীরচর্চা করেন! তবে সুস্থ থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার খাবার। কোন খাবার আপনি কোন সময় খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে আপনার সুস্থতা। যখন যা ইচ্ছে হলো, তাই খেয়ে নিলে আপনি কখনো সুস্থ থাকতে পারবেন না।
কারণ পুষ্টিকর খাবার না খেলে আপনার শরীর সমান পুষ্টিগুণ পাবে না। এর ফলেই বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি কিংবা অতিরিক্ত হওয়ায় শরীরে দেখা দিতে পারে নানা রোগ।
দৈনন্দিন জীবনে সবাই ব্যস্ত সময় কাটান। এ কারণে হাতের কাছে যে যা পান, তাই খান! ফলে গ্যাস্ট্রিক, হজম না হওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে সকালের খাবার ঠিকঠাক না থাকলে সারাদিন অ্যানার্জি পায় না শরীর। পুষ্ঠিবিদদের মতে, সকালের খাবার কখনো বাদ দেওয়া উচিত নয়।
মধু ও লেবুর জল : দিনের শুরুতে ঈষদুষ্ণ জল খেলে শরীর ভাল থাকে। জলে ১ চামচ মধু ও অর্ধেক পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। কাজ হবে আরও ভাল। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। পাশপাশি মেদ কমাতেও সহায়ক এই পানীয়।
ভেজানো আমন্ড : ভিটামিন ই, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার ও নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর আমন্ড শরীরের জন্য অত্যন্ত ভাল। সকালেই যদি ৩-৪টে আমন্ড খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে নেওয়া যায়, শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টির বেশ কিছুটা পেয়ে যাবে।
ওট্স : ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টিগুণে সম্পন্ন ওট্স সকালে খেলে দিনভর পেট যেমন ভরা থাকে, তেমন শরীরের উপকার হয়। ওট্সের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও ক্যালোরির পরিমাণ কম হওয়ায় মধুমেহর রোগীদের ডায়েটে তা বিশেষ ভাবে রাখতে বলা হয়। খালি পেটে ওট্স খাওয়ার উপকারিতা হল এটি পাকস্থলীর উপর একটি আস্তরণ তৈরি করে। যা শরীরে অ্যাসিডের জন্য হওয়া জ্বলন থেকে সুরক্ষা দিতে পারে কিছুটা।
চিয়া বীজ : চিয়া বীজ ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ। সকালে খালি পেটে চিয়া বীজ ভেজানো জল বা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে চিয়া বীজ খেলে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে।
খেজুর : মিষ্টি এই ফলটিতে ভিটামিন, ম্যাগেশিয়াম, ফাইবার, আয়রন রয়েছে প্রচুর। দিনের শুরুতে শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে খুব সাহায্য করে খেজুর। এতে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও এতে কমে।
আমলকির রস : ভিটামিন ই ও অন্যান্য খনিজে ভরপুর আমলকির রস যদি দিনের শুরুতেই খাওয়া যায় তা হলে শরীর থাকবে রোগমুক্ত। এতে থাকা উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আয়ুর্বেদে বলাই হয়, দিনের শুরুতে আমলকির রস খাওয়া দরকার। আমলকির রস হজম ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বক থেকে চুলের জৌলুস বাড়ায় এই রস।
ফল : সকালের নাশতায় অবশ্যই ফল রাখুন। অনেকেরই ভুল ধারণা আছে, খালি পেটে ফল খেতে হয় না। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, উপোস ভাঙার পর কিংবা দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পর খালি পেটে ফল খাওয়া উচিত। ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, ফাইবার ও পানি থাকে। যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়।