লাইফস্টাইল ডেস্ক :
খুশকি নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় প্রায়ই। গাঢ় রঙের পোশাক পরলে যেমন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়, তেমনি চুলকানির সমস্যা তো রয়েছেই। অ্যান্টি-ড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহারের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে তাড়াতে পারেন বিরক্তিকর খুশকি।
নারকেল তেল মাথার ত্বকে ঘষে ঘষে লাগান। এক ঘন্টা অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। নারকেল তেলে লরিক অ্যাসিড থাকে, যার অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ত্বককে ময়শ্চারাইজও করে। একটি গবেষণায বলছে, নারকেল তেল মাথার ত্বকে ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক কমায়।
কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে খুশকি সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক খুশকি দূর করার কিছু কার্যকর উপায়।
নারকেল তেল এবং লেবুর রস
নারকেল তেল চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। লেবুর রস খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। সমপরিমাণ নারকেল তেল ও লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ২০-৩০ মিনিট রেখে দিন, তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
দই
দই ত্বককে ঠাণ্ডা রাখতে এবং খুশকি দূর করতে সহায়তা করে। খুশকির সমস্যা থাকলে চুলের গোড়ায় দই লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেল মাথার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ঠাণ্ডা রাখে এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন, তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মেথি বীজ
মেথি বীজের প্রাকৃতিক উপাদানগুলি খুশকি দূর করতে সহায়ক। রাতে কিছু মেথি বীজ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বীজগুলি পিষে পেস্ট তৈরি করুন এবং মাথার ত্বকে লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে এবং খুশকি দূর করতে সহায়তা করে। মাথার ত্বকে সামান্য বেকিং সোডা লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন এবং তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগার ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং খুশকি কমাতে সহায়ক। সমপরিমাণ আপেল সিডার ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে চুলে স্প্রে করুন এবং ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
চা গাছের তেল
চা গাছের তেল প্রাকৃতিক অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে। শ্যাম্পুর সাথে কয়েক ফোঁটা চা গাছের তেল মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে খুশকি কমে যাবে।
পরামর্শ
খুশকি থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত এই ঘরোয়া উপায়গুলি অনুসরণ করতে পারেন। এছাড়া, মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা এবং সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি খুশকির সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।