লাইফস্টাইল ডেস্ক :
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে ধীরে ধীরে আমাদের পরিপাক তন্ত্র দুর্বল হয়ে যায়। আর সেই কারণেই পেটে গ্যাসের সমস্যা অনেকের জন্য প্রতিদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, অম্বল, বদহজম, অ্যাসিডিটি এবং পেটে ব্যথার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। অনেকের পেট শুধুমাত্র গ্যাসের কারণেই ফুলে থাকে। তার ফলে ভুঁড়ি না থাকলেও পেট বড় মনে হয়। আপনারও যদি গ্যাসের সমস্যা থাকে, তাহলে তার থেকে মুক্তি পেতে এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো প্রতিদিনের পেট ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যাকে বিদায় জানাতে পারে?
মূলত হজমজনিত সমস্যা থেকেই পেট ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। আর পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিলেই তা থেকে বুক জ্বালা পোড়া, বমি ভাব, মাথা ঘোরা, পেট ব্যথাসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ভরসা রাখতে পারেন বিশেষ কিছু খাবারে।
পেট থেকে গ্যাস দূর করে জেনে নিন এমন কিছু খাবারের নাম-
শসা
শসা পেট ঠান্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাবার। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
দই
আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে দই। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।
পেঁপে
পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।
কলা ও কমলা
কলা ও কমলা পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়া কলাও গ্যাসের সমস্যায় দারুণ কাজ করে। কলার সলুবল ফাইবারের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। যা পেট পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি গ্যাসের সমস্যা কমাতে পারে।
আদা
আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।
মৌরি
মৌরি ভেজানো পানিও গ্যাসের সমস্যায় ভালো কাজ করতে পারে। গ্যাসের সমস্যা এড়াতে মৌরি ভেজানো পানি খেতে পারেন।
দারুচিনি
হজমের জন্য দারুচিনি খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো ফুটিয়ে পানি খেতে পারেন। কিংবা এক টুকরো দারুচিনি মুখে চিবোতেও পারেন। নিয়মিত এ অভ্যাসে গ্যাস আপনার থেকে দূরে থাকবে।
জিরা
জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। তাই ভাজা জিরা কিংবা জিরা পানি খেতে পারেন। এছাড়াও ২/৩টি লবঙ্গ কিংবা একটি এলাচ মুখে দিয়ে চুষলে বুক জ্বালা, বমি বমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধও দূর করতে পারে এটি। পুদিনা পাতা চিবানোর অভ্যাসও এক্ষেত্রে দারুণ কাজ করে। পেটের গ্যাসের সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত পুদিনা পাতা খান।
ঠান্ডা দুধ
পাকস্থলির গ্যাসট্রিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠান্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডি দূরে থাকে।
পুদিনা পাতার পানি
এক কাপ পানিতে পাঁচটি পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।
আমড়া
টুকরো করে রোদে দিয়ে খান কাজে দেবে। পেটে গ্যাস ও বদহজমজনিত সমস্যা সমাধানে আদা খুব উপকারী। খাবারে আদা যোগ করে বা কিছু পরিমাণ।