Search

চোখ ওঠার সমস্যা সারাতে যা করবেন যা করবেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক

  • 0
  • 2 views

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস নামের সমস্যার সঙ্গে আমরা সবাই কম-বেশি পরিচিত। এটি একটি ভাইরাসজনিত সমস্যা। কোনো কোনো সময় বা মৌসুমে একসঙ্গে অনেক মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন। কারণ, এটি সংক্রামক রোগ।

জীবনে একবারও চোখ ওঠেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। আর পরিবারে কারো চোখ ওঠেছে কিন্তু অন্য কেউ আক্রান্ত হয়নি এমন ঘটনা কম ঘটে। কিন্তু চোখ উঠলে চিন্তার কিছু নেই। সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে চোখ ওঠা আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়। বিশেষ করে আমাদের দেশে শীতকালীন আবহাওয়ায় চোখ ওঠার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তবে চোখ ওঠার পরে অবশ্যই চোখের বাড়তি যত্ন নিতে হয়।

কেন চোখ ওঠে

চোখ উঠলে চোখ লাল হয়ে যায়, কিছুটা ব্যথা ও খচখচ ভাব থাকে। এর সঙ্গে থাকে চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা। চোখ ওঠা হতে পারে ব্যাকটেরিয়া দিয়ে। এ ছাড়া ভাইরাস আক্রমণের কারণেও চোখ ওঠার সমস্যা হতে পারে। বেশির ভাগ সময়ই ভাইরাসে চোখ ওঠে।

চোখ ওঠে বুঝবেন যেভাবে

অপরিষ্কার বা নোংরা জীবনযাপন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। চোখ ওঠা রোগে চোখ লাল হয়ে যায়। আর এমনটি হয় এই কনজাঙ্কটিভার রক্তনালিগুলো প্রদাহর কারণে ফুলে বড় হয়ে যাওয়া এবং তাতে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে। ঘুম থেকে ওঠলে চোখ আঠা আঠা লাগা, সব সময় চোখের ভেতর কিছু একটা পড়েছে এমন অনুভূতি, চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা, আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি লাগা, সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখা, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখের কোনায় ময়লা (যা কেতুর নামে প্রচলিত) জমা, চোখ ফুলে যাওয়া চোখ ওঠার লক্ষণ।

আসুন জেনে নেই চোখ ওঠলে কি করবেন

নোংরা পানি ওপানির ঝাপটা

আক্রান্ত চোখে নোংরা পানি, ধুলাবালি, দূষিত বাতাস যেন চোখে প্রবেশ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া সকালে ওঠার পর চোখে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। অনেকে চোখে ওঠলে বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন বা চোখে পানির ঝাপটা দেন। এটি মোটেই ঠিক নয়।
সানগ্লাসন

আক্রান্ত চোখে নিয়ে বাইরে যাওয়ার সময় সানগ্লাস পরতে হবে। এটি রোদে চোখ জ্বলা কমাবে।

চোখ ওঠা ছোঁয়াছে রোগ

চোখ ওঠা ছোঁয়াছে রোগ, তাই যাদের চোখ ওঠেছে, তাদের সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে। চোখ আক্রান্ত ব্যক্তির রুমাল, কাপড়চোপড়, তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি হ্যান্ডশেকের মাধ্যমেও অন্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য হাত তাড়াতাড়ি ধুয়ে ফেলতে হবে। নোংরা হাত চোখে লাগানো যাবে না।

অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ

কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভাইরাসের আক্রমণের পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। এ জন্য দিনে তিন থেকে চারবার চোখের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার করতে হবে। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ না হলেও সেকেন্ডারি ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য এটি ব্যবহার করা যায়। চোখে চুলকানি থাকলে অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন করতে হবে। এ ক্ষেত্র অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

যা যা করবেন না

>> ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরালজনিত কনজেক্টিভাইটিস খুব সংক্রামক। বারবার চোখ-মুখ স্পর্শ করার অভ্যাস যাদের মধ্যে আছে তাদের মধ্যে এটি খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এজন্য চোখ-মুখ স্পর্শের আগে অবশ্যই ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। আক্রান্তদের কাছ থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখুন।

>> চোখের সংস্পর্শে আসা টিস্যু, ওয়াশক্লথ বা তোয়ালে পুনরায় ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

>> উপসর্গগুলো চলে না যাওয়া পর্যন্ত কন্টাক্ট লেন্স বা চোখের মেকআপ এড়ানো উচিত।

> আক্রান্ত চোখে বারবার হাত লাগাবেন না বা ঘষবেন না।

সতর্কতা

পরিষ্কার করা যেতে পারে। তবে কোনোমতেই চোখ রগড়ানো যাবে না।
কালো চশমা রোদে বা আলোতে কিছুটা স্বস্তিদায়ক হয়। তাই বাইরে বেরোলে কালো চশমা পরুন।

চোখে কোনোমতেই হাত দেওয়া যাবে না।

একজনের ব্যবহার করা রুমাল, গামছা, তোয়ালে বা কাপড়চোপড় অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না।

হাত সব সময় সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে।

জনসমাগম, অনুষ্ঠান, ক্লাস ইত্যাদি পরিহার করে চলাই ভালো। এ সময়টায় অনেক শিক্ষার্থীর ক্লাস চলছে। চোখ ওঠা নিয়ে ক্লাসে উপস্থিত না হওয়াই ভালো। তবে পরীক্ষা থাকলে ওপরের নিয়মগুলো যথাযথভাবে মেনে স্কুলে যাওয়া যাবে। অবশ্যই কালো চশমা পরে থাকতে হবে এবং অন্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করা যাবে না।

চিকিৎসা খাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বল্পতা রয়েছে, যা রাতারাতি পূরণ সম্ভব নয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
Prev Post চিকিৎসা খাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বল্পতা রয়েছে, যা রাতারাতি পূরণ সম্ভব নয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দুশ্চিন্তা যখন ব্রণ নিয়ে
Next Post দুশ্চিন্তা যখন ব্রণ নিয়ে

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *