Search

ডায়েটের মাঝে যেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন ক্ষুধা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

  • 0
  • 2 views

লাইফস্টাইল ডেস্ক : 

ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় আমরা একেকজন একেরকম ডায়েট অনুসরণ করি। কেউ কেউ বেশি প্রোটিন গ্রহণকে উৎসাহিত করে, কেউ আবার কার্বোহাইড্রেট বর্জন করে পুরোপুরি। প্রতিটি ব্যক্তির ওজন কমানোর এবং ফিট থাকার জন্য আলাদা প্যাটার্ন রয়েছে। কিন্তু একটি জিনিস প্রায় প্রত্যেকেই অভিযোগ করেন। সেটা হলো ডায়েট চলাকালীন সময়ে ক্ষুধা লাগে প্রচণ্ড। স্বাস্থ্যকর খাওয়া এবং কিছু খাবার এড়িয়ে চলার এই সময় প্রায় প্রায় ক্ষুধা লাগার বিষয়টি বেশ কষ্টকর। আবার খালি পেটে থাকা স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।

আমেরিকান জার্নাল অব ফিজিওলজি, এন্ডোক্রিনোলজি এবং মেটাবলিজমে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে, মানুষ যখন ওজন কমানোর জন্য কম ক্যালোরি গ্রহণ করে, তখন তাদের শরীর ঘেরলিন নামক একটি হরমোন নিঃসরণ করে যা তাদের ক্ষুধার্ত করে তোলে। প্রত্যেক ব্যক্তির এই হরমোন থাকে, এবং যদি আপনার ওজন বেশি হয় এবং তারপরে ওজন হ্রাস হয় তবে হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই ক্ষুধা নিবারণের জন্য, হয় তারা বেশি খাবার খেয়ে ফেলে অথবা খালি পেটে থেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাধিয়ে ফেলে।

যেভাবে ডায়েটের সময় ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়:

১) ডায়েট করলে কিন্তু বেশি করে পানি পান করতে হবে। এতে যেমন শরীর চাঙ্গা হয়, তেমনই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়। ডায়েটের মাঝে ক্ষুধা পেলেও বেশি করে পানি পান করুন। এই উপায় মানলে ক্ষুধা অনেকটাই কমে। পানি পান করলে পেট ভরে যায়। যে কোনও ডায়েট করার সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। এতে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলো বের হয়ে যায়।

২) ডায়েটে বেশি করে ফাইবার জাতীয় খাবার রাখতে পারেন। এই প্রকার খাবার খেলে পেট অনেক সময় পর্যন্ত ভরা থাকে। ক্ষুধা কম পায়। ওট্স, বার্লি, ফল ও শাকসব্জিতে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। খেতে পারেন মটর, শিম ও বিভিন্ন প্রকার ডালও।

৩) প্রোটিন জাতীয় খাবার ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। ডায়েট করার সময় চার ঘণ্টা অন্তর প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার রাখলে তা ক্ষুধা লাগা কমাতে সাহায্য করে।

৪) মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকতে হবে। ডায়েট শুরু করলে অনেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। ফলে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এ রকম হলে কিন্তু আমরা অজান্তেই বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি। ওজন কিছুতেই কমে না। ডায়েট শুরু করার আগে তাই মানসিক ভাবে প্রস্তুত হন। নইলে শত চেষ্টাতেও ওজন কমবে না।

৫) খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করাই ভাল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। ক্ষুধা কম পায়।

 

মানসিকভাবে কম বিকশিত শিশুদের ভবিষ্যতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি
Prev Post মানসিকভাবে কম বিকশিত শিশুদের ভবিষ্যতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় করণীয়?
Next Post গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় করণীয়?

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *