Search

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

  • 0
  • 9 views

লাইফস্টাইল ডেস্ক : 

দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অনন্য ড্রাগন ফল। এখন দেশেই চাষ হচ্ছে উপকারী এই ফল। ফলে সর্বত্রই দেখা মিলছে লাল টুকটুকে ড্রাগন ফলের। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এতে, যা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। জেনে নিন ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

ড্রাগন ফলে বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ রয়েছে। ড্রাগন ফলে আরও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি এবং এ, পাশাপাশি পটাসিয়াম। এই যৌগগুলো প্রদাহজনক এবং অক্সিডেটিভ প্রক্রিয়াগুলোর সাথে যুক্ত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ক্যানসার, ডিসলিপিডেমিয়া বা উচ্চ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে।

ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ একটি ফল ড্রাগন। এর ক্যালরির মাত্রা তুলনামূলক কম। তবে এতে যথেষ্ট পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে। এক কাপ ড্রাগন ফলে ক্যালোরির মাত্রা ১৩৬, প্রোটিনের মাত্রা ৩ গ্রাম, ফ্যাটের মাত্রা শূন্য, ফাইবারের মাত্রা ৭ গ্রাম, আয়রনের মাত্রা ৮ শতাংশ, ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা ১৮ শতাংশ, ভিটামিন-সি এর মাত্রা ৯ শতাংশ, ভিটামিন-ই এর মাত্রা ৪ শতাংশ।

জেনে নিই ড্রাগন ফলের উপকারিতা-

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ

আামাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ড্রাগন ফল হৃদপিন্ডকেও সুস্থ রাখতে অনেকটা সাহায্য করে থাকে। একটি রিসার্চচ দেখা গেছে যে যারা প্রতিদিন মাএ ১ টি করে ড্রাগন ফল খেয়েছে তাদের কোলেস্টেরল মাএা ৪.৪% কমেছে এবং যারা প্রতিদিন ২ করে খেয়েছে তাদেরও অনেকটাই কমেছে ৯.৪% ।

হার্টের উপকার করে

ড্রাগন ফলের বীজে হার্টের জন্য উপকারী ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৯ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। নিউ ইয়র্কের পুষ্টিবিদ ও দ্য স্মল চেঞ্জ ডায়েটের লেখক কেরি গানস বলেন, ‘ড্রাগন ফলের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে প্রদাহনাশক উপাদান রয়েছে। একারণে এই ফল খেলে হার্টের রোগের ঝুঁকি ও জয়েন্টের ব্যথা কমে যায়। ড্রাগন ফল খেলে বিষণ্নতাও কমতে পারে।’

হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে

অধিকাংশ ফলের চেয়ে ড্রাগন ফলে ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকে। এটা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে ও অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে। অস্টিওপোরোসিসে হাড় এতই দুর্বল হয়ে যায় যে সহজেই ভেঙে পড়তে পারে। এক বাটি ড্রাগন ফলে দৈনিক সুপারিশকৃত ম্যাগনেসিয়ামের প্রায় ১৮ শতাংশ পাওয়া যায়। জার্নাল অব ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল রিসার্চে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, মাসিক চক্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে এমন নারীদের হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ড্রাগন ফল বিশেষ সহায়ক হতে পারে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে

ড্রাগন ফল প্রচুর ভিটামিন সি দ্বারা সমৃদ্ধ। এটি ওজন বজায় রাখতে বা হ্রাস করতেও সহায়তা করতেও অনেক সহায়তা করে । এই ফলটিতেব ৮০শতাংশই পানি রয়েছে । ড্রাগন হচ্ছে এমন একটি ফল যা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ, যা নিশ্চিত ভাবে আপনার অন্ত্রের গতিবিধিকেও সঠিক নিয়ন্ত্রণ করবে।

ক্যান্সারের প্রতিরোেধে

ড্রাগন ফল ক্যান্সারের সঙ্গে অনেক লড়াই করে। এই ফলটিতে ক্যারোটিন নামক এক উপাদান রয়েছে, যা আমাদের শরীরে থাকা টিউমারকে ধ্বংস করতে সক্ষম ।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ভূমিকা

বেশি পরিমাণ আঁশ থাকায় ড্রাগন ফল খেলে রক্তের শর্করার পরিমাণও অনেকেটা স্থিতিশীল হয়ে যায় । নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় ড্রাগন থাকলে ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে । বয়স বাড়ার সাথে সাথেও ক্যান্সার থেকে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে খুবই ভূমিকা রাখে এই ড্রাগন ফলটি । গর্ভবতী মায়েরাও খেতে পারে এই দারুন সুস্বাদু ড্রাগন ফল।

হজমে সহায়তা

প্রতিদিনের নিয়েমিত পরিমান হারে ড্রাগন ফল খাওয়া । ড্রাগন ফলে আঁশের পরিমাণও অনেক বেশি থাকে। যার ফলে পরিপাক প্রক্রিয়া ঠিক ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে । যা বদহজমের জন্য ও অত্যন্ত কার্যকারী। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাঃসমস্ত রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাই রয়েছে এই ড্রাগন ফলে। বিশেষত প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ঈ রয়েছে এই ড্রাগন ফলটিতে । এই ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকভাবে বজায় থাকে। নিয়মিত এই ফলটি খেলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য অনেক ভাল থাকবে।

বয়সের চাপ দূর করতে 

বয়সের ছাপ দূর করে এবং ত্বককে দৃঢ় রাখতে অনেক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের প্রয়োজন হয়। যা ভিটামিন -সি এর উপস্থিতির কারণে ড্রাগন ফলকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভালো উৎস বলা হয়ে থাকে।

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ

একটি পরিপক্ক ড্রাগন ফলে প্রায় ৭ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা দৈনিক সুপারিশকৃত পরিমাণের চারভাগের প্রায় একভাগ। এটা অন্ত্রের বর্জ্য দূরীকরণেও অনেক সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা রয়েছে তারা এই ফল খেলে অনেকেটাই উপকার পাবেন।

রক্ত চলাচল সঠিকভাবে বজায় রাখে 

সারাবিশ্বের একটি অতি পরিচিত পুষ্টি ঘাটতি হলো আয়রনের ঘাটতি। নারীদের মধ্যে এই সমস্যা অনেকটা বেশি লক্ষ্য করা যায়। মাংস, মাছ, বাদাম ও ডাল এইসব জাতীয় খাবার থেকে আমরা অধিকাংশ আয়রন গ্রহণ করে থাকি। মাত্র কিছু ফলে উচ্চ এসব ফলের একটি হলো ড্রাগন ফল। ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে ১.৯ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে, যা দৈনিক সুপারিশকৃত মাত্রার ১০ শতাংশেরও বেশি। হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য আয়রন খুব প্রয়োজন, যা শরীরের টিস্যুতে অক্সিজেন পৌঁছাতে লোহিত রক্তকণিকাকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।

চুলপড়া প্রতিরোধ করে

আয়রন ঘাটতির কারণে চুলপড়া সমস্যাও হতে পারে। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে চুলপড়া কমতে পারে। এছাড়া নিউ ইয়র্ক সিটির আইকান স্কুল অব মেডিসিনের ডার্মাটোলজি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্লিনিক্যাল প্রফেসর গ্যারি গোল্ডেনবার্গের মতে, এই ফল আয়রন ঘাটতি জনিত রক্তস্বল্পতার অন্যান্য উপসর্গও প্রশমিত করতে পারে, যেমন- অত্যধিক ক্লান্তি, ত্বকের বিবর্ণতা, মনোনিবেশে সমস্যা, মাথাব্যথা ও হাত-পায়ে ঠান্ডা অনুভূতি।

 

ঘাড়ের কালচে দাগ দূর করার উপায়
Prev Post ঘাড়ের কালচে দাগ দূর করার উপায়
যুক্তরাষ্ট্রকে বিদায় করে শেষ আটে উরুগুয়ে
Next Post যুক্তরাষ্ট্রকে বিদায় করে শেষ আটে উরুগুয়ে

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *