লাইফস্টাইল ডেস্ক :
ত্বকের যেকোনো সমস্যা সমাধানে দ্রুত সমাধান পেতে চান? তাহলে ভরসা রাখতে পারেন ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুলের ওপর। বাহ্যিকভাবে ত্বকে এর ব্যবহারেই নজরকাড়া দ্যুতি পেতে পারেন। পাশ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ত্বকে ভিটামিন ‘ই’ এর ব্যবহারে আসুন কিছু টিপস জেনে নিই।
অনেকেই আছেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই নিজের খেয়াল-খুশিমতো এক মাস কিংবা দুমাসের জন্য ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল খাওয়া শুরু করে দেন, যা মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কেননা, এতে শরীরে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই বাহ্যিকভাবে এটি ব্যবহার করেই আপনার জীবনে অনেক পরিবর্তন ঘটাতে পারেন আপনি।
ফার্মেসিতে দু-ধরনের ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল রয়েছে। একটি সবুজ আর অন্যটি হলুদ। সবুজ ক্যাপসুলগুলো সাধারণত লো পাওয়ারের হয়ে থাকে। আর যে ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুলগুলো হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে, সেগুলো বেশ হাই পাওয়ারের। তবে ত্বকের পরিচর্যায় আপনি যেকোনো এক ধরনের ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল বাছাই করতে পারেন।
ত্বকে ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুলের ব্যবহার
১. আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত না হয়, তবে ‘ই’ ক্যাপসুলে থাকা তেল মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। আর যদি ত্বক তৈলাক্ত হয়, তবে তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন গোলাপের পানি।
২. মুখের ক্রিম বা বডি লোশনের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন ‘ই’ ক্যাপসুল। এটি আপনার ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। নাইট ক্রিমের বিকল্প হিসেবেও এই পদ্ধতি ভালো কাজ করে।
৩. দীর্ঘদিনের ত্বকের পুরনো দাগ যেমন হাতের কনুই বা হাঁটুর গাঢ় কালো দাগ দূর করতে সপ্তাহে তিন দিন ‘ই’ ক্যাপসুলের তেল সে স্থানে ব্যবহার করতে পারেন।
৪. চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে চাইলে খাঁটি বাদাম তেলের সঙ্গে ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল ব্যবহার করুন। এতে বলিরেখাও দূর হয়। ভিটামিন ই এর এই উপকারিতা আপনাকে দীর্ঘ সময় তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
৫. গোলাপি আর মসৃণ ঠোঁট পেতে লিপবাম বা ভ্যাসলিনের সঙ্গে একটি ‘ই’ ক্যাপসুল ভেঙে মিশিয়ে নিতে পারেন।
৬. যদি অনেক পুরোনো কাটা দাগ, ব্রণের দাগ বা পক্সের দাগ থাকে, তবে প্রতিদিন সেই স্থানে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল ম্যাসাজ করুন। কয়েক দিনের মধ্যেই দাগ হালকা হতে শুরু করবে।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর ভিটামিন ই রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। তাই ত্বকের যত্নের পাশাপাশি অকাল বার্ধক্য ঠেকাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দারুণ কার্যকরী।