Search

দ্রুত ওজন কমাতে যা খাবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

  • 0
  • 5 views

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অতিরিক্ত ওজন কমাতে কত কিছুই না করা হয়। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে বাজারের কত জিনিসই তো ব্যবহার করা হয়। কাজের কাজ তো হয় না কিছুই। অনেকেই আবার অস্বাস্থ্যকর ডায়েট করে শরীরের বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন। তাই ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো একটি উপায় হচ্ছে ডায়েট প্ল্যানে এমন সব খাবার যোগ করা যা আপনার ওজন কমানোর সাথে সাথে দেহের ভিটামিন এবং নিউট্রিশনের ব্যালেন্স ঠিক রাখবে। তাহলে আসুন এখন জেনে নেয়া যাক এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে যা দেহের অতিরিক্ত ফ্যাট বার্ণ করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে ৮টি খাবার নিয়ে। এই ৮টি খাবার কমাবে ওজন, ভিটামিন ও নিউট্রিশনের ব্যালেন্স রাখবে ঠিক।

সকালের নাশতায় প্রোটিন

আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে অবশ্যই সকালের নাশতায় প্রচুর পরিমাণে প্রেটিন খাওয়ার চেষ্টা করুন। কেননা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান প্রোটিন। এটি খাদ্যের তাপীয় প্রভাব বা থারমাল এফেক্ট অব ফুড বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি করে। দুধ, ডিম, পনির, সয়া, মসুর ডাল ইত্যাদি প্রোটিনের ভালো উৎস।

দারুচিনি কিংবা এলাচের চা

ওজন কমাতে সব ধরনের মশলা চা-ই অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া আমাদের মেটাবলিজম রেট বাড়াতে সাহায্য করে এলাচ ও দারুচিনি। সকালে গ্রিন টি’র সঙ্গে দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। উপকার মিলবে। আর দুপুরের খাবার পর খেতে পারেন এক কাপ এলাচের চা।

জাম্বুরা 

আমরা অনেকেই হয়তো জানি না জাম্বুরা ওজন কমানোর জন্য উপকারী। জাম্বুরাতে থাকা ফাইটোকেমিকল্স্ ইনসুলিন লেভেল কমায় এবং এটি শরীরের ক্যালোরিকে চর্বিতে রূপান্তরিত করার পরিবর্তে এনার্জিতে রূপান্তর করে। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, প্রতিদিন সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের পূর্বে অর্ধেক জাম্বুরা অথবা দিনে ৩ বার জাম্বুরার জুস পানের মাধ্যমে ১২ সপ্তাহে ৪ পাউন্ডের মতো ওজন কমানো সম্ভব। তাহলে আর দেরি কেন? আজ থেকেই আপনার ডায়েট প্ল্যানে যোগ করুন জাম্বুরা এবং দেখুন এর জাদু।

গ্রিন টি

গ্রিন টি ওজন কমাতে খুবই সহায়ক একটি পানীয়। গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাটেচিন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্যাট বার্ণ করে। এটি অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, গ্রিন-টি এক দিনে ৭০ ক্যালোরি পর্যন্ত ফ্যাট বার্ন করে। তার মানে নিয়মিত গ্রিন টি পানের মাধ্যমে বছরে ৭ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব। গ্রিন টি পান করার উপকারিতা হিসেবে ওজন কমানোর পাশাপাশি আরেকটি হেল্থ বোনাসও পাওয়া যাবে। আর তা হলো এটি খউখ পযড়ষবংঃবৎড়ষ কমায় যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

সবুজ শাক

পাতাযুক্ত সবুজ শাকগুলি যেমন কেল, পালং শাক এবং কলার্ড গ্রিনস ফাইবার এবং পুষ্টির প্যাক যা আপনাকে সন্তুষ্ট এবং হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া সবুজ শাক-সবজিতে থাইলাকয়েড, উদ্ভিদ যৌগ রয়েছে যা বর্ধিত তৃপ্তি এবং আরও ভাল ক্ষুধা ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত বিশ্বস্ত উৎস।

পানি

দেহের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে পানি হতে পরে আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, প্রতিদিন সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের পূর্বে ২ গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করলে বছরে ১৭,৪০০ এক্সট্রা ক্যালোরি কমানো সম্ভব। তার মানে বছরে ৫ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমাতে পারেন রেগ্যুলার পানি পানের মাধ্যমে।

ডিম

অনেকেই হয়তো অবাক হয়ে চিন্তা করছেন ডিম কিভাবে ওজন কমাতে সহায়ক হতে পরে। অবাক হবার কিছু নেই। ডিম হচ্ছে প্রোটিনে সমৃদ্ধ এমন একটি খাবার যা অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকতে সাহায্য করে যার কারণে ক্ষুধা ভাব কম হয়। প্রতিদিন সকালে যদি ডিম ডায়েটে যোগ করা যায়, তাহলে আপনি সারাদিনে তুলনামূলক কম ক্যালোরি গ্রহণ করবেন যা ওজন কমাতে সহায়ক।

পেস্তা বাদাম

আপনার ডায়েট প্ল্যানে স্ন্যাকসের লিস্টে চোখ বন্ধ করে যোগ করতে পারেন এই পেস্তা বাদাম। পেস্তা বাদাম হচ্ছে পারফেক্ট স্ন্যাক, কারণ এতে আছে হেলদী ফ্যাট, প্রোটিন এবং ডায়েটারি ফাইবার (উরবঃধৎু ভরনবৎ) যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে ফ্যাটের কথা শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই ফ্যাট হচ্ছে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা ব্রেন এবং হার্টকে সুস্থ রাখে।

মাশরুম

নিয়মিত মাশরুম খাবার মাধ্যমে আপনি আপনার অতিরিক্ত চর্বি কাটিয়ে উঠতে পারেন। গরু বা অন্য চর্বিযুক্ত মাংসের পরিবর্তে মাশরুম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনি এতে খুব কম ক্যালোরি রয়েছে। এক কাপ মাশরুমে ৪৪ ক্যালোরি রয়েছে।

অলিভ অয়েল

আপনি আপনার নিয়মিত খাদ্য অভ্যাসের সাথে অলিভ অয়েল যোগ করেও কমাতে পারেন অতিরিক্ত ওজন। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল শরীরের জন্য উপকারী। এতে আছে এক প্রকার মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা ক্যালোরি বার্ণ করতে খুবই উপকারী। রেগ্যুলার সালাদের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে আপনি যেমন সালাদের গুণকে বাড়িয়ে নিতে পারেন কয়েক গুণ, তেমনি ওজনটাও রাখতে পারেন নিয়ন্ত্রণে।

ব্রোকলি

ব্রোকলিতে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। এতে অনেক কম ক্যালোরি রয়েছে। ব্রোকলি ওজন বাড়ানোর জন্য দায়ী দুইটি জিনিসকে প্রতিহত করে। একটি হচ্ছে শারীরিক ক্ষুধা এবং অপরটি খাওয়ার ইচ্ছা। তাই আপনার ডায়েট প্ল্যানে ব্রোকলি যোগ করার মাধ্যমে ওজন কমাতে পারেন সহজেই।

লেটুসপাতা

এক পাউন্ড লেটুস পাতায় রয়েছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কিলোক্যালরি। এছাড়াও লেটুসপাতা ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ, বি-৬, সি ও ফলিক এসিডের ভালো উৎস। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

পালং শাক

পালং শাক বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। সালাদ, জুস ও তরকারিতে। এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন এ, বি-৬, সি ও কে।

মটরশুটি

মজার এই খাবারটি শরীরে প্রোটিন ও ফাইবারের চাহিদা পূরণ করে একই সঙ্গে ওজনও কমায়। মটরশুটি ধীরগতিতে হজম হয় বলে ক্ষুধা কম লাগে।

ডার্ক চকলেট

চকলেটপ্রেমীদের জন্য সুখবর। ডায়েটিংয়ের কড়া লিস্টে তুলে নিতে পারেন ডার্ক চকলেট। খেতে দারুণ ডার্ক চকলেটে রয়েছে এন্টি-অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ করে। সকাল আর দুপুরের মাঝামাঝি সময়ে ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। এতে শরীর পাবে তার সারাদিনের শক্তি।

রঙিন সালাদ

খাদ্যতালিকায় রাখুন বিভিন্ন রঙের সবজি বা ফল দিয়ে তৈরি সালাদ। এ সালাদের সঙ্গে টক দই মেশাতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।

 

মুখের ক্যান্সারের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার
Prev Post মুখের ক্যান্সারের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার
শিশুর দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে যেসব খাবার খাওয়ানো উচিত
Next Post শিশুর দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে যেসব খাবার খাওয়ানো উচিত

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *