লাইফস্টাইল ডেস্ক :
ঘন চুল পেতে সঠিক যত্ন নেয়া প্রয়োজন। ভালো মানের তেল ও শ্যাম্পু ব্যবহার করা জরুরি। চুল ও স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখার উপরেও বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন। সেইসঙ্গে সুষম খাবারও খেতে হবে।
অনেকেরই চুল পাতলা হয়ে যাওয়া কিংবা ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের হেয়ার প্রোডাক্ট যেমন তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ইত্যাদি পাওয়া যায়। এসব ব্যবহারে সাময়িক উপকার হলেও সম্পূর্ণ সমস্যার সমাধান হয় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চুলের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় শুধু কসমেটিক পণ্য নয়, ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাসও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে চুলেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন এ, সি, ডি, ই, প্রোটিন, জিঙ্ক ও আয়রনের মতো উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো চুলকে রাখে সজীব।
দেখে নেয়ে যাক নিয়মিত খাদ্য তালিকায় কোন কোন খাবার রাখলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
গাজর
এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। ফলে গাজর চোখের জন্য খুব ভাল। শুধু চোখ নয়, মাথার তালুর পুষ্টির জন্য আর চুলের গোড়া শক্ত করতেও গাজরের কোনও বিকল্প নেই। রোজ একটি করে কাঁচা গাজর খেতে পারলে ভাল।
মটরশুঁটি
গীষ্মকালে বাজারে মটরশুঁটি পাওয়া দুর্লভ। তবে খুঁজলে পাওয়া যেতেই পারে। চুল পড়ার সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে মটরশুঁটি উপকারী। এতে নানা রকমের ভিটামিনের সঙ্গে আছে চুলের জন্য প্রয়োজনীয় আয়রন, জিঙ্কের মতো কিছু খনিজ। এগুলো চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। চুলে পড়ে যাওয়া কমায়।
ওটস
ওটস চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে। এতে আয়রন, জিঙ্ক, মিনারেলসের মতো উপাদান তো আছেই, তার সঙ্গে রয়েছে ওমেগা-৩। এই উপাদান ত্বক এবং চুলের পুষ্টি জোগায়। চুল ঝরার পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে আসে।
চিংড়ি
চুল পড়া কমাতে রেড মিট বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে খেতে পারেন চিংড়ি। তবে চিংড়ি খেলে শুধু যে প্রোটিনের চাহিদা মিটবে, তা নয়। এর পাশাপাশি চুল পড়ার আশঙ্কাও কমবে।
আমলকির রস
চুলের গোড়া শক্তিশালী ও মজবুত করে তুলতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ আমলকি চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে। রোজ একটি করে আমলকি খাওয়ার অভ্যাস চুল ঝরা রোধ করতে দ্রুত সাহায্য করে।
কমলা বা লেবু
নিয়মিত কমলা বা লেবু খেতে পারেন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন ই-এর মতো ভিটামিন সি আয়রনের কার্যকারিতার জন্য আপনার শরীরের জন্য সমানভাবে প্রয়োজনীয়। এই ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনেও সাহায্য করতে পারে। সেই সঙ্গে আপনার স্বপ্নময় চকচকে চুল পেতে সাহায্য করে।
পেঁপে
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত পাকা পেঁপে খেতে পারেন। এতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি। আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যের কিংবা ত্বকে কোলাজেন তৈরি করতে বা মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যে যাই বলুন, এটি কাজ করে হেয়ার টনিকের মতো।
পালং শাক
পালং শাকের বিভিন্ন স্বাস্থ্যগুণ আমরা সবাই জানি। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন রয়েছে এতে। যার কারণে চুল পড়ার সমস্যা প্রতিরোধ করতে এবং চুল ঘন ও মজবুত করে তুলতে সাহায্য করে পালং শাক।
বাদাম
প্রতিদিন একমুঠো বাদাম খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল। এগুলো চুলের গঠনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। চুলের বৃদ্ধিকেও ত্বরান্বিত করে বাদাম।