Search

পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

  • 0
  • 11 views

লাইফস্টাইল ডেস্ক : 

পায়ের পাতা ফুলে যাওয়ার সমস্যাটি যে কারোই হতে পারে। এটা নিজে কোন রোগ নয় বরং অন্তর্নিহিত কোন সমস্যার লক্ষণ। সাধারণত যখন টিস্যুর মধ্যে তরল জমা হয় তখন এই সমস্যাটি উদ্ভূত হয়। একে ইডিমা বিলে। বিভিন্ন কারণে পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে যেমন- অতিরিক্ত ওজন, অনেকক্ষণ যাবত বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে, প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোম, পুষ্টির ঘাটতি, শারীরিক কসরতের অভাব এবং কম রক্ত সঞ্চালন ইত্যাদি। পায়ে, গোড়ালিতে অথবা পায়ের পাতায় কোন ধরণের আঘাত বা সার্জারির কারণেও পা ফোলার সমস্যা হতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস আছে, হার্টের সমস্যা আছে, কিডনি বা লিভারের রোগ আছে তাদের এবং গর্ভবতী মহিলাদের এই সমস্যাটি হওয়ার প্রবণতা বেশি। এই সমস্যাটি বৃদ্ধি পেলে হাঁটতে বা দাড়িয়ে থাকতে অস্বস্তি হয়। পা ফুলে যাওয়ার সাথে আরো যে উপসর্গ গুলো দেখা যায় তা হল, ব্যথা, জ্বালাপোড়া করা ও লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। সৌভাগ্যক্রমে প্রচুর কার্যকরী ও ঘরোয়া উপায় আছে যার দ্বারা পা ফোলা সমস্যাটির নিরাময় করা সম্ভব। এবার তাহলে সেই উপায় গুলো জেনে নেই আসুন।

বিপরীত জলচিকিৎসা

আপনার পায়ের পাতার ফোলা কমানোর জন্য অনেক কার্যকরী একটি পদ্ধতি হচ্ছে ঠান্ডা ও গরম পানির থেরাপি। যেখানে গরম পানি রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে আর ঠাণ্ডা পানি ফোলা ও জ্বালাপোড়া কমতে সাহায্য করে। এই প্রকার জল চিকিৎসার জন্য ২টি বালতি বা গামলার প্রয়োজন হবে।

একটিতে ঠান্ডা পানি ও অন্যটিতে গরম পানি নিন

গরম পানির বালতিতে আপনার পা ৩-৪ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।

তারপর আপনার চরণযুগল গরম পানি থেকে উঠিয়ে ঠাণ্ডা পানিতে ১ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।

এভাবে পর্যায়ক্রমে ১৫-২০ মিনিট করুন

দিনে কয়েকবার এই প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি করুন যতক্ষণ না আপনার পায়ের ফোলার উপশম হয়।

মালিশ করা

পা ফুলে যাওয়ার সমস্যার প্রতিকারে পা মালিশ করা সবচেয়ে ভালো উপায়। এটা আক্রান্ত স্থানে চাপ প্রয়োগ করে কঠিন মাংসপেশিকে শিথিল বা ঢিলা হতে সাহায্য করে এবং রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটায়। এছাড়াও অতিরিক্ত তরল নিষ্কাশনকে প্রণোদিত করে ফোলা কমায়।

সরিষার তেল বা অলিভ অয়েল সামান্য গরম করে আক্রান্ত স্থানে মালিশ করুন
পায়ের পাতার নীচ থেকে উপরের দিকে উঠিয়ে আস্তে আস্তে মালিশ করুন। খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করবেন না।

এভাবে দিনে কয়েকবার করুন।

গোসলের সময় বা গোসলের পরে মালিশ করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।

পা উত্তোলন

যেহেতু পানি জমে থাকার কারণে পা ফুলে যায় তাই এই পানিকে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলে এই সমস্যাটি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এজন্য আপনার ফুলে যাওয়া পা দুটো উপরের দিকে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

আপনার পা দুটো এমন উচ্চতায় রাখুন যাতে হার্ট থেকে উপরের দিকে থাকে

এর ফলে পায়ে আবদ্ধ পানি নিষ্কাশিত হতে পারবে এবং পা ফোলা কমবে।

দিনে ৪-৫ বার এভাবে করুন এবং প্রতিবার এক ঘন্টা করে রাখুন।

লেবু পানি

লেবু পানি খেলে শরীরের অতিরিক্ত তরল ও বিষাক্ত পদার্থ বাহির হয়ে যায় যা পা ফোলা কমতেও সাহায্য করে। এটা শরীর কে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে এবং এর প্রদাহরোধী উপকারিতাও আছে।

২ টেবিল চামচ লেবুর রস ১ কাপ উষ্ণ গরম পানিতে মিশান

সামান্য মধু মিশিয়ে মিষ্টি স্বাদ করে নিতে পারেন

দিনে কয়েক বার এই পানীয়টি পান করুন

টি ট্রি অয়েল

ফোলা কমাতে টি ট্রি অয়েল চমৎকার কাজ করে। অন্য এসেনশিয়াল অয়েলের মত টি ট্রি অয়েল পাতলা করার প্রয়োজন হয়না। এটি সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যায়।

ম্যাসেজ

আপনার পা এবং গোড়ালি ম্যাসেজ করা রক্তসঞ্চালনকে উদ্দীপিত করতে, প্রদাহ কমাতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। আপনি আপনার হাত ব্যবহার করে আক্রান্ত স্থানে আলতো করে ঘষতে পারেন বা ম্যাসেজ বল বা রোলার ব্যবহার করতে পারেন। মৃদু চাপ প্রয়োগ করতে ভুলবেন না এবং খুব শক্ত ঘষা এড়ান, কারণ এটি আরও ক্ষতি করতে পারে। আপনি আপনার ম্যাসেজ তেল বা লোশনে পেপারমিন্ট বা ল্যাভেন্ডারের মতো প্রয়োজনীয় তেলও যোগ করতে পারেন, কারণ তারা প্রদাহ কমাতে এবং কালশিটে পেশী প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে।

ব্যায়াম

মৃদু ব্যায়াম রক্তসঞ্চালন উন্নত করতে এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করতে পারে। হাঁটা, যোগব্যায়াম, সাঁতার কাটা এবং সাইকেল চালানো হল কিছু কম-প্রভাবিত ব্যায়াম যা সহায়ক হতে পারে। ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন এবং লিম্ফ্যাটিক তরল উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে, যা ফোলা কমাতে সাহায্য করতে পারে। ধীরে ধীরে শুরু করা এবং ধীরে ধীরে অনুশীলনের তীব্রতা সহনীয় হিসাবে বৃদ্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ।
জলয়োজন: অতিরিক্ত তরল বের করে দিতে এবং ফোলাভাব কমাতে প্রচুর পানি পান করা অপরিহার্য। যখন শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়, তখন এটি আরও তরল ধরে রাখে, যার ফলে ফুলে যায়। পানীয় জল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।

লবণ খাওয়ার

লবণ গ্রহণ কমিয়ে তরল ধারণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে, যা ফোলা হতে পারে। লবণে সোডিয়াম থাকে, যা শরীরে পানি ধরে রাখতে পারে। অতএব, উচ্চ পরিমাণে সোডিয়াম ধারণকারী প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ সীমিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

বরফ

আক্রান্ত স্থানে বরফ লাগালে তা ফোলা কমাতে এবং ব্যথা উপশম করতে পারে। আপনি একটি ঠাণ্ডা বা বরফের প্যাক একটি তোয়ালে মুড়িয়ে ১০-১৫ মিনিটের জন্য আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন। এটি দিনে কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করা যেতে পারে।

ক্যান্সারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ
Prev Post ক্যান্সারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ
কোটা বাতিলের দাবিতে রোববার ‘বাংলা ব্লকড’ কর্মসূচি
Next Post কোটা বাতিলের দাবিতে রোববার ‘বাংলা ব্লকড’ কর্মসূচি

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *