লাইফস্টাইল ডেস্ক :
একসময় মুখজুড়ে ব্রণ হতো। নিয়মিত পরিষ্কার করার প্রসাধনী ব্যবহারে এখন তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু এখন পিঠ ভর্তি ব্রণ হয়। মুখের যত্নে তো প্রসাধনী ব্যবহার করা যায় কিন্তু পিঠের ক্ষেত্রে তা করা যায়। এছাড়া বেশিরভাগ মানুষ হাত, মুখের যত্ন নিলেও পিঠের ব্যাপারে উদাসীন থাকে। তাতেই বাড়ে ব্রণের পরিমাণ।
ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষাকালে এই সমস্যা আরও বাড়ে। এসময় খুশকির সমস্যাও বাড়ে। এছাড়া ভ্যাপসা আবহাওয়ায় ঘামও বেশি হয়। কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে ব্রণ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
ওট্স-দইয়ের প্যাক
একটি বাটিতে তিন চামচ ওটসের গুঁড়ো নিয়ে তাতে দু’চামচ টক দই নিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে সারা পিঠে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে গরম পানিতে তোয়ালে দিয়ে ভাল করে মুছে নিন। সপ্তাহে তিন বার ব্যবহার করুন এই প্যাক।
চালের গুঁড়ো-টম্যাটোর প্যাক
টম্যাটো বেটে নিয়ে তার সঙ্গে ২ চামচ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এ বার মিশ্রণটি পিঠে লাগিয়ে নিয়ে আধ ঘণ্টা রাখুন। তার পর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। পিঠের লালচে ভাব দূর হবে, ব্রণর সমস্যা কমবে, এমনকি ট্যানিংয়ের সমস্যাও দূর হবে।
হলুদ-বেসনের প্যাক
কাঁচা হলুদ বেটে নিয়ে তার সঙ্গে বেসন মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ বার মিশ্রণটি পিঠে লাগিয়ে মিনিট পনেরো রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সংক্রমণ কমবে। ব্রণর হামলা থেকেও রেহাই পাবেন।
ঢিলেঢালা পোশাক পরুন
গরমেও অনেকে আঁটসাঁট পোশাক পরেন। ফলে ঘাম বেশি হয়। এতে পিঠের ত্বকে ঘাম জমে ঘর্মগ্রন্থিগুলি বন্ধ হয়ে যায়। সেখান থেকেই দেখা দেয় পিঠে ব্রণ, ফুসকুড়ির মতো সমস্যা। তাই সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
মৃত কোষ পরিষ্কার করুন
ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রে সেবাম, মৃত কোষ জমেও ব্রণ হতে পারে। পিঠ চোখের আড়ালে থাকে। শরীরের এই অংশে সহজে হাত পৌঁছায় না বলে দেহের এই অংশটি নিয়মিত পরিষ্কারও করা হয় না। ফলে ব্রণের সংখ্যা বাড়তে পারে। তাই লম্বা হাতলযুক্ত মাজুনি দিয়ে পিঠ মাজুন।
নিয়মিত গোসল করুন
বাইরে থেকে ঘেমেনেয়ে ফেরার পর কেবল বাতাসে শরীর শুকিয়ে নিলেই হবে না। একেবারে গোসলও করে নিন। সম্ভব হলে গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। এতে ব্রণ সমস্যা কমবে অনেকখানি।
টি ট্রি অয়েল
ব্রণের সমস্যা কমাতে ব্যবহার করতে পারেন টি ট্রি অয়েল। নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। ঘুমানোর আগে ফোঁটা ফোঁটা করে ব্রণের ওপর লাগিয়ে নিন। কয়েকদিনেই ব্রণ কমে যাবে।