লাইফস্টাইল ডেস্ক :
পেটের মেদ কমানো কঠিন এক চ্যালেঞ্জ। দেহের এ অংশের অতিরিক্ত মেদ উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, পিত্তরোগ ও ঘুমের সমস্যা তৈরি করে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ হলো, কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় রয়েছে, যা আপনার পেটের চর্বি কমাতে সহায়তা করে। কিছু উপকারী পানীয় আছে যেগুলো পান করলে এই যাত্রা অনেকটাই সহজ হবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. গ্রিন টি
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি আমাদের সামগ্রিক ওজন হ্রাসের পাশাপাশি পেটের মেদ ঝরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জনপ্রিয় এ পানীয় আমাদের শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে সারাই করে। ক্যান্সারের মতো কিছু প্রাণঘাতী রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কার্যকর এটি। এক চীনা গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি অভ্যন্তরীণ ফ্যাট কমাতে ভূমিকা রাখে।
২.পালং শাকের জুস
পালং শাকের পুষ্টিগুণ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কম ক্যালোরি ও প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ এই শাক আপনার মেদ কমানোর অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে। এই শাকের প্রচুর আয়রনও থাকে। ফলে ওজন কমানো সহজ হয়। পালং শাকের জুস তৈরি করে খেলে তা আপনাকে পেটের মেদ দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে।
২. শসা ও মাল্টার জুস
শসায় ৯৫ শতাংশ পানি রয়েছে এবং মাল্টা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এই দুই উপকরণ একসঙ্গে জুস করে খেলে তা আপনাকে একগুঁয়ে পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে এবং সেইসঙ্গে পুষ্টিও দেবে। তাই পেটের মেদ কমাতে এই জুস তৈরি করে খেতে পারেন।
৪. লাউয়ের জুস
লাউয়ে উচ্চ ফাইবার এবং কম ক্যালোরি থাকায় এটি পেটের চর্বি কমানোর জন্য আদর্শ একটি খাবার। লাউয়ের জুস তৈরি করে খেলে এই উপকার পাবেন। পানীয়টি আরও সুস্বাদু এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ করতে এই রেসিপিটিতে আনারস এবং কমলাও যোগ করতে পারেন।
৫. আমলকির জুস
আমলকির জুস ক্ষারীয় প্রকৃতির এবং এটি আমাদের পাচনতন্ত্রকে সহায়তা করে। এটি বিপাককে উন্নত করতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই এই জুস নিয়মিত পান করুন এবং একগুঁয়ে পেটের মেদকে বিদায় জানান। কাঁচা আমলকি চিবিয়ে খেলেও এক্ষেত্রে উপকার পাবেন।
৬. বাঁধাকপির জুস
বাঁধাকপি ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ যা আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি জোগায়। এটি অন্ত্রের উপরের অংশকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং সহজেই শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে। বাঁধাকপির জুস আপনার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। এটি নিয়মিত পান করলে পেটের মেদ দূর হয়।
৭. জিরা ভেজানো পানি
জিরা প্রায় সবার রান্নাঘরেই থাকে। এই মশলা শুধু যে খাবারের স্বাদ-গন্ধ বাড়াতে কাজে লাগে তা কিন্তু নয়। বরং এটি নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে থাকে। জিরা ভেজানো পানি পান করলে তা হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়। এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে। একগ্লাস পানিতে এক চা চামচ জিরা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সেই পানি ছেঁকে নিয়ে খালি পেটে পান করুন। উপকার মিলবে দ্রুত।
৮. অ্যালোভেরার রস
অ্যালোভেরা ভীষণ আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এতে প্রচুর খনিজ আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি হজম ক্ষমতা বাড়ায় ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। পানীয়ের স্বাদ বাড়াতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।