Search

প্রোটিয়াদের হৃদয় ভেঙে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত

  • 0
  • 2 views

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দক্ষিণ আফ্রিকার নামের পাশে যে লেগে আছে চোকার্স তকমা। ২৪ বলে ২৬ রানের সমীকরণটাই আর মেলানো হয়নি তাদের। আর্শদ্বীপ সিং আর জাসপ্রিত বুমরাহ একের পর এক ডট ডেলিভারিতে চাপ বাড়িয়েছেন। সঙ্গী ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। স্নায়ুচাপের লড়াইয়ে জয় হলো ভারতেরই।

শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রান। হার্দিক পান্ডিয়ার ওই ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি লাইনে মিলারকে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরালেন সুর্যকুমার যাদব। দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ শেষ হয়ে গেল সেখানেই। শেষ ওভারে এলো ৮ রান। ব্যর্থ হলো হেনরিখ ক্লাসেনের ২৭ বলে ৫৪ রানের দুর্দান্ত সেই ইনিংস। প্রোটিয়াদের হৃদয় ভেঙে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো রোহিত শর্মার দল।

শনিবার (২৯ জুন) বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে টানটান উত্তেজনার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল ভারত জিতল ৭ রানে। শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে ভারত। ওই রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের বেশি করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের পর দ্বিতীয়বারের মতন এই সংস্করণের চ্যাম্পিয়ন হলো তারা।

১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জাতপ্রিত বুমরার বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন প্রোটিয়া ওপেনার রেজা হেনরিকস। ঠিক পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন আর্শ্বদ্বীপ সিং। ওভারের তৃতীয় বলে পন্তের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন এইডেন মার্করামও। দলীয় ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।

হেনরিকস ও মার্করাম ফিরে গেলে স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে ৫৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন কুইন্টন ডি কক। ব্যক্তিগত ৩১ রানে আক্সার প্যাটেলের বলে সাজঘরে ফেরেন স্টাবস। দলীয় ৭০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়া শিবির। ক্রিজে আসেন হেনরিখ ক্লাসেন। দ্বিতীয় ইনিংসের অর্ধেক তখনও বাকি। ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৮১ রান সংগ্রহ করে প্রোটিয়ারা।

একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলা চালিয়ে যান কুইন্টন ডি কক। ব্যক্তিগত ৩৯ রানে আর্শ্বদ্বীপের বলে কুলদ্বীপ যাদবের তালুবন্দি হন ডি কক। ১০৬ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে প্রোটিয়া শিবিরে।

এরপর মিলার-ক্লাসেনের ৪৫ রানের জুটিতে জয়ের সুবাতাস পেতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ১৫১ রানে অর্ধধতক পূরন করে হার্দিকের বলে ফিরে যান ক্লাসেন। ম্যাচ এবার মোড় নেয় নাটকীয়তায়। ২ রান করে বুমরাহর বলে আউট হন জানসেন।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন হয় ১৬ রান। বোলিংয়ে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। ওভারের প্রথম বলেই আউট হন ডেভিড মিলার। শেষ পর্যন্ত ১৬৯ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে বাঁহাতি পেসার মার্কো ইয়ানসেনকে তিনটি চার মারেন কোহলি। এরপর দ্বিতীয় ওভারেই আক্রমণে স্পিন নিয়ে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে সুফল মেলে হাতেনাতে। টানা দুটি চার হজমের পর দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়ে রোহিতকে আউট করে দেন কেশব মহারাজ। এক বল পর বাঁহাতি স্পিনারের শিকার হন রিশভ পান্ত। খানিক বাদে সূর্যকুমার যাদবকে সাজঘরের পথ দেখান ডানহাতি পেসার কাগিসো রাবাদা।

প্রথম ওভারে কোহলির নৈপুণ্যে ১৫ রান তোলা ভারত দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে রোহিতের কল্যাণে পৌঁছে যায় বিনা উইকেটে ২৩ রানে। এরপর ঘটে ছন্দপতন। মহারাজের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল সুইপ করার চেষ্টায় কাটা পড়েন ছন্দে থাকা রোহিত। স্কয়ার লেগে তার নিচু ক্যাচ নেন হেইনরিখ ক্লাসেন। ভারতের অধিনায়কের সংগ্রহ ৫ বলে ৯ রান।

বিপজ্জনক পান্ত টিকতেই পারেননি। তিনিও সুইপ করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন। ব্যাটের কানায় লেগে পেছনে চলে যাওয়া বল মাথার ওপর থেকে গ্লাভসে জমান কুইন্টন ডি কক। ২ বল খেলে পান্ত রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন।

পঞ্চম ওভারে দলীয় ৩৪ রানে পতন হয় ভারতের তৃতীয় উইকেটের। পান্তের মতো আরেক বিপজ্জনক ব্যাটার সূর্যকুমারকেও থিতু হতে দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। তার শাফল করে মারা শট সীমানার আগেই আটকে যায়। ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে বল মুঠোয় জমান ক্লাসেন। ৪ বলে ৩ রানে থামেন সূর্যকুমার।

১১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ইনিংস মেরামতে মনোযোগী হন কোহলি ও অক্ষর। কোহলি দেখেশুনে ব্যাট চালাতে থাকেন। অক্ষরের কৌশল ছিল প্রতিপক্ষের স্পিনারদের ওপর পাল্টা আক্রমণ। ফলে ধীরে ধীরে প্রোটিয়াদের তৈরি করা চাপ আলগা হতে থাকে। জমে ওঠে জুটি।

অষ্টম ও নবম ওভারে যথাক্রমে মার্করাম ও মহারাজকে একটি করে ছক্কা হাঁকান অক্ষর। পরে তাবরাইজ শামসিকেও সীমানার ওপারে পাঠান তিনি। ১৪তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন উইকেটরক্ষক ডি কক। তার সরাসরি থ্রোতে রানআউট হয়ে যান দারুণ খেলতে থাকা অক্ষর। এতে ভাঙে ভারতের ৫৪ বলে ৭২ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

তার বিদায়ের পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি। এই টুর্নামেন্টে প্রথমবার এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। আগের সাত ইনিংসে স্রেফ ৭৫ রান করেছিলেন, দুবার আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। ফাইনালে ৪৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন কোহলি।

ফিফটি পাওয়ার পর কিছুটা চালিয়ে খেলার চেষ্টা করেন কোহলি। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পরের ১১ বলে ১৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। মার্কো ইয়ানসেনের আগের বলে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। পরেরটি একটু স্লো করেন তিনি, এবার পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন রাবাদার হাতে।

কোহলির সঙ্গে পরে পঞ্চাশ পেরোনো জুটি হয়েছিল দুবেরও। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে আউট হন দুবে। ১৬ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ রান করে আউট হন দুবে। শেষ বলে জাদেজাও আউট হলে ১৮০ রান ছোয়া হয়নি ভারতের। এনরিখ নরকিয়া ২৬ রান দিয়ে ২টি, মহারাজ ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মুদ্রানীতিতে ইতোমধ্যে সংকোচনমূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে : অর্থমন্ত্রী
Prev Post মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মুদ্রানীতিতে ইতোমধ্যে সংকোচনমূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে : অর্থমন্ত্রী
মানসিক চাপ কমানোর সহজ উপায়
Next Post মানসিক চাপ কমানোর সহজ উপায়

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *