Search

বাংলাদেশকে চীন দুই বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অনুদান-ঋণ দেবে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

  • 0
  • 4 views

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে চীন দুই বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অনুদান-ঋণ দেবে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, রেয়াতি ঋণ ও বাণিজ্যিক ঋণে চারটি ক্ষেত্রে সহায়তায় রাজি হয়েছে। এই চারটি প্যাকেজের আওতায় চীন বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ প্রদানে সম্মত হয়েছে।

রোববার (১৪ জুলাই) বিকালে গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গবেষণা, শিক্ষা, আইসিটি, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।

সরকারপ্রধান বলেন, সম্মেলনে আমি চীনা ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে বিশ্বের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাই। এ সময় অবকাঠামো, আইসিটি, পর্যটন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ জ্বালানি খাত, জলবায়ু-সহনশীল স্মার্ট ফার্মিং, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ প্রযুক্তি ও উন্নয়ন খাতে বৃহত্তর বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, চীনে বাংলাদেশ দূতাবাস, বিডা, বিএসইসি এবং চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইং আয়োজিত এ সম্মেলনে চীনের ভাইস মিনিস্টার অব কমার্স লি ফেই, চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওয়াং টং ঝু, এইচএসবিসি চায়নার প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্ক ওয়াং, হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন বক্তব্য দেন এবং তাদের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন। এই সম্মেলনে বাংলাদেশের ১০টি কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে চীনের বিভিন্ন কোম্পানির ১৬টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে তিনটি বিশেষ পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ও সেখানে চীন রিয়েল এস্টেট এবং হসপিটালিটি খাতে বিনিয়োগের সুযোগের কথা উল্লেখ করলে চীনের ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহ দেখান। একই সঙ্গে এআইআইবিকে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, নদী খনন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ উপযোগী খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি।

সরকারপ্রধান বলেন, চীন আমাদের কিছুই দেয় নাই, ভারতের সঙ্গে আমরা গোলামি চুক্তি স্বাক্ষর করে এসেছি; কিছু মানুষের মুখ থেকে এগুলো আমাদেরকে নিয়মিত শুনতে হচ্ছে। এগুলো হলো সম্পূর্ণ ‘মানসিক অসুস্থতা’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন সফরে ২১টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি হয়েছে। আমি জানি না এরপরও যারা সমালোচনা করছেন, তারা জেনে বুঝে করছেন কি না। কিছুদিন আগেও ভারত সফরে আমরা ‘দেশ বিক্রি’র চুক্তি করে আসছি, এমনটা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন আমি এসবকে খুব বেশি একটা গুরুত্ব দিই না। কারণ আমি বাংলাদেশে আসার পর প্রতিটি ক্ষেত্রেই নেগেটিভ কথা শুনে আসছি। এতসব গুজব আমাকে নিয়ে হয়েছে, যেগুলো আমি শুনে আসছি, এসব নিয়ে আর কিছুই বলার নেই। যারা বলছে বলুক, তাদেরকে বলতে দিন।

চীন সফর নিয়ে সমালোচনায় কিচ্ছু যায় আসে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেই না। আমি এটায় অভ্যস্ত হয়ে গেছি। যারা এই কথাগুলো বলে বেড়াচ্ছেন, তারা কি জেনে বুঝে বলছেন, নাকি শুধু আমাকে হেয় করার জন্য বলছেন, সেটাই প্রশ্ন। সবসময় আমার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো, এইভাবে কথা বলা। বলতে বলতে এত বেশি বলে, যারা বলছে বলতে দেন। এখানে আমার কিচ্ছু যায় আসে না।

চীন সফরে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলেও সমালোচকেরা বলছেন, এ সফরে কোনও প্রাপ্তি নেই। তারা বড় ধরনের ঋণ দেবে না। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১টি সমঝোতা স্মারক সই ও আরও ৭টি এমওইউ হয়েছে। যারা এই কথাগুলো বলে বেড়াচ্ছেন, তারা কি জেনে-বুঝে বলছেন? নাকি শুধু আমাকে হেয় করার জন্য বলছেন? আমি বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেই না। ১৯৮১ সালের দেশে আসার পর প্রতিটি ক্ষেত্রে এ ধরনের নেতিবাচক কথা বলে, এটাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। সবসময় আমার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো, এইভাবে কথা বলা। বলতে বলতে এত বেশি বলে, যারা বলছে বলতে দেন। এখানে আমার কিচ্ছু যায় আসে না।

তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। তার আগে ভারত গেলাম, সেখানে বলা হয়েছিল ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে এসেছি। চীনে গেলাম, বলে কিছুই দেয়নি। এগুলো বলেই আসছে। ভারতের কাছে দেশ বেচা, চুক্তি বাতিল করতে হবে। এটা এক ধরনের লোকের মানসিক অসুস্থতা বলে মনে করি। মানসিক অসুস্থতা ছাড়া বানোয়াট কথা কেউ বলতে পারে না। তাদের জন্য করুণাই হয় আমার। তাদের নিয়ে কিছু বলার নাই।

চীনের সঙ্গে চুক্তির পূর্ণ তালিকা সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্ণ তালিকা দেওয়া আছে। ২১টি নামও আছে। আপনারা চাইলে পড়তে পারি। না অনেক সময় অনেকে বলেন। কিছুই হয়নি। কিছুই না পেয়ে খালি হাতে ফিরে আসছি। ওরা তে বলবেই। তারা আবার মনে কষ্ট পেতে পারে।

চীন সফর বাংলাদেশের কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, বিকাল ৫টার মধ্যে আমাদের সব কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। ওইদিন রাতে রওনা হয়ে ১১ (জুলাই) তারিখ ভোর রাতে আমরা ঢাকা ফিরে আসি।

চীন সফর ছয় ঘণ্টা আগে শেষ করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্তান অসুস্থ, তার জন্য কয়েক ঘণ্টা আগে সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে এসেছি। বিকালে আসার কথা, সকালে এসেছি। এই ছয় ঘণ্টা আগে আসায় এতো তোলপাড় হয়ে যাবে আগে বুঝতে পারিনি।

এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, তারা সব কিছুতে ষড়যন্ত্র খুঁজে। আমি এর আগেও তো একাধিকবার সফর সংক্ষেপ করে দেশে ফিরেছি। তখনও তারা সমালোচনা করেছিল। এবারও করছে। তাই সমালোচকদের জন্য আমার করুণা হয়।

 

অভিষেকে সেঞ্চুরি করা পাকিস্তানের প্রথম ক্রিকেটার ইবাদুল্লার মৃত্যু
Prev Post অভিষেকে সেঞ্চুরি করা পাকিস্তানের প্রথম ক্রিকেটার ইবাদুল্লার মৃত্যু
সোনার দাম ভরিতে বাড়লো ১১৯০ টাকা
Next Post সোনার দাম ভরিতে বাড়লো ১১৯০ টাকা

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *