Search

ব্রেন টিউমার : প্রকার, লক্ষণ এবং চিকিৎসা

  • 0
  • 2 views

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ব্রেন টিউমার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কিছু ব্রেন টিউমার ক্যানসার মুক্ত (বিনাইন) হতে পারে, আবার কিছু ব্রেন টিউমার ক্যান্সার প্রবণ (ম্যালিগন্যান্ট) হতে পারে। ব্রেন টিউমার আপনার মস্তিষ্কে (প্রাথমিক ব্রেন টিউমার) হতে পারে, বা ক্যান্সার আপনার শরীরের অন্য অঙ্গে শুরু হতে পারে এবং আপনার মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ব্রেন টিউমারের চিকিৎসার বিকল্পগুলি আপনার ব্রেন টিউমারের ধরন, তার আকার এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে।

ব্রেন টিউমার কি?

ব্রেইন টিউমার হল একটি মেডিকেল অবস্থা যা মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে গঠিত পিণ্ড বা ভর দ্বারা সৃষ্ট হয়। আমাদের শরীরের কোষগুলি ক্রমাগত সংখ্যাবৃদ্ধি এবং বৃদ্ধি পাচ্ছে, পুরানো, বিদ্যমান কোষগুলিকে নতুন দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে। মস্তিষ্কের টিউমারের ক্ষেত্রে, মস্তিষ্কের কোষগুলি একটি অনিয়ন্ত্রিত উপায়ে সংখ্যাবৃদ্ধি এবং বিভাজন শুরু করে যা স্বাভাবিকভাবে শরীর দ্বারা স্বীকৃত হয় না। এই দ্রুত কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি স্বাভাবিক কোষের প্রতিক্রিয়ার চেয়ে ভিন্ন যা প্রাথমিকভাবে কেন এই কোষগুলি দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনার ঝুঁকি রাখে।

আনুমানিক ১৩০ টি ব্রেন টিউমারের ধরন রয়েছে যা কোষের গুণনের ধরন, নির্দিষ্ট অবস্থান যেখানে কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটে এবং কত দ্রুত তারা সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে তার উপর ভিত্তি করে সনাক্ত করা হয়েছে।

মস্তিষ্কের কোষের দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি ধীরে ধীরে সুস্থ মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ধ্বংস করতে শুরু করে এবং অস্বাভাবিকভাবে বিভাজিত কোষের বিস্তার একটি প্রাথমিক কারণ হিসেবে পরিচিত যে কারণে গুনগত কোষে প্রাথমিকভাবে গঠিত ক্যান্সারের অবস্থা সময়ের সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ব্রেন টিউমার প্রধানত দুই ধরনের।

১. বেনাইন টিউমার, যা ক্যানসার নয় এবং ২. ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বা ক্যানসার-জাতীয় টিউমার।

ম্যালিগন্যান্ট বা ক্যানসার-জাতীয় টিউমার আবার দুই ধরনের।

১. প্রাথমিক ম্যালিগন্যান্ট, যা মস্তিষ্কের মধ্য থেকে উৎপত্তি হয়ে থাকে।

২. মেটাস্টেটিক, যা শরীরের অন্য জায়গায় উৎপন্ন হয়ে মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে।

ব্রেন টিউমারের সাধারণ লক্ষণ

মাথা ব্যথা : এই অসুবিধা ব্রেন টিউমারের একটি অতি পরিচিত উপসর্গ। প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রেই রোগের প্রাথমিক অবস্থায় এই উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। টিউমার আকারে বৃদ্ধি পেলে তা মস্তিষ্ক এবং পার্শ্ববর্তী স্নায়ু ও রক্তজালিকাগুলিতে প্রবল চাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে এই ব্যথার অনুভব হয়। অনেক ক্ষেত্রেই রোগী তার মাথা ব্যথার ধরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়:

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তীব্র মাথা ব্যথা অনুভব করা। সারাদিন ধরে মাথা ব্যথা থাকা, কিন্তু দিনের বিভিন্ন সময়ে তার তীব্রতার পরিবর্তন লক্ষ্য করা। ব্যায়াম করার সময়, বেশি নড়াচড়া করলে বা কাশলে বেশি ব্যথা অনুভব করা। অতিরিক্ত মাথা ব্যথার কারণে বিভিন্ন উপসর্গ যেমন বমি ভাব অনুভব করা। সাধারণ ব্যথার ওষুধ খাওয়া সত্বেও মাথা ব্যথা না কমা।

মনে রাখবেন, যে কোনো ধরণের মাথা ব্যথাই কিন্তু ব্রেন টিউমারের উপসর্গ নয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকা, স্ট্রেস বা মানসিক চাপ ইত্যাদির কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে। যদি দীর্ঘদিন ধরে মাথা ব্যথা না কমে, তবে অবিলম্বে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিৎ।

ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন : ব্রেন টিউমারের ফলে হঠাৎ করে মেজাজ খারাপ হওয়া, এমনকি আপনার ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই সংক্রান্ত যে সমস্ত পরিবর্তন সর্বাধিক দেখা যায়, সেগুলি হলো:

ছোটখাটো, সাধারণ বিষয়ে বিরক্তি অনুভব করা, এবং এই বিরক্তি ভাব দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হওয়া
বাইপোলার মুড চেঞ্জ, অর্থাৎ কোনো উল্লেখযোগ্য কারণ ছাড়াই এক মুহূর্ত হাসিখুশি অবস্থা থেকে পরমুহূর্তেই দুঃখ বা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়া

ক্লান্তি, কাজ করতে গড়িমসি ভাব, অথবা রোজকার কাজ করতে অনীহা

কোনো কাজ, যা পূর্বে আপনার প্রিয় ছিল, বর্তমানে তার প্রতি কোনো টান বা ঝোঁক না থাকা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি হয়তো আপনার প্রিয় শখ বা হবিকেই ঘৃণা করতে শুরু করতে পারেন।
ছোটখাটো, সাধারণ বিষয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেওয়া

নিম্নলিখিত অঙ্গ বা দেহাংশে টিউমারের উপস্থিতির ক্ষেত্রে ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন দেখা দেওয়ায় সম্ভাবনা সর্বাধিক:

খিঁচুনি : আমাদের স্নায়ুর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বৈদ্যুতিক প্রৈতি (ইম্পালস) মস্তিষ্ক থেকে দেহের অন্যান্য অংশে নির্দেশ প্রেরণ করার কাজে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে। যদি মস্তিষ্কে টিউমারনজন্ম নেয়, তবে তা নিজের বৃদ্ধির সাথে সাথে স্থান সঙ্কুলানের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট স্নায়ু ও রক্তজালিকা গুলিকে চাপ দিতে থাকে। এর ফলস্বরূপ স্নায়ুর বৈদ্যুতিক প্রবাহ ব্যাহত হয়, যার জন্য খিঁচুনির মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

এই খিঁচুনিও ব্রেন টিউমারের একটি অত্যন্ত সাধারণ উপসর্গ, যা ৫০ শতাংশেরও বেশি ব্রেন টিউমার রোগীর ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়। মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক মাংসপিন্ড গঠন হওয়ায় ব্রেন টিউমারের একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ।

স্মৃতিভ্রংশ

মস্তিষ্কের সম্মুখভাগ বা ফ্রন্টাল লোব নামক অংশ চিন্তাপ্রক্রিয়া ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। সুতরাং, মস্তিষ্কের এই অংশে টিউমার জন্মালে তা থেকে নিম্নলিখিত উপসর্গগুলি দেখা দিতো পারে:

সহজেই বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। এই অবস্থাত সূচনা রোজকার সাধারণ কাজকর্মের মধ্য দিয়েই বোঝা যায়। যেমন ধরুন, দিকনির্নয় করতে অক্ষমতা, বা সময়ের সাথে সাথে লোকের নাম ভুলে যাওয়া ইত্যাদি।

মনঃসংযোগ করতে অসুবিধা হওয়া
একইসাথে একাধিক কাজ করবার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া বা ব্যাহত হওয়া

ব্রেন টিউমারের ফলে আপনার তীব্র স্মৃতিবিভ্রম বা স্মৃতি লোপ পাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাৎক্ষণিক স্মৃতিভ্রংশ (শর্ট টার্ম মেমরি লস) এই রোগের একটি প্রধান লক্ষণ

মুড ডিজঅর্ডার বা অকারণে মেজাজ বিগড়ে যাওয়া : হঠাৎ করে মেজাজ পরিবর্তন হওয়া বা মুড সুইং নামক অসুবিধার সাথে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত। কিন্তু মুড সুইং আর মুড ডিজঅর্ডার দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। মুড সুইংএর ক্ষেত্রে আপনি হঠাৎ মেজাজের পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। অন্যদিকে, মুড ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন অনেক বেশি দীর্ঘস্থায়ী এবং তা সময়ের সাথে সাথে ক্রমশ গুরুতর হতে থাকে। এই পরিবর্তন আপনাকে এমনকি নিজের ক্ষতি করার দিকেও চালিত করতে পারে। ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি ইত্যাদি হলো কিছু সাধারণ মুড ডিজঅর্ডারের উদাহরণ।

ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা

ব্রেন টিউমারের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রণালী সাধারণত টিউমারটির আকার, অবস্থান, প্রকার ও বর্তমান অবস্থার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়াও রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং পছন্দের চিকিৎসা পদ্ধতির ওপরও সমপরিমাণ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিনাইন বা বিহীন টিউমারের ক্ষেত্রে প্রধানত সার্জারি বা অপারেশনের মাধ্যমে টিউমার বাদ দেবার প্রণালীই ব্রেন টিউমারের চিকিৎসায় ডাক্তারদের প্রাথমিক পরামর্শ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু ম্যালিগন্যান্ট বা ক্যান্সার আক্রান্ত টিউমারের ক্ষেত্রে সার্জারি ছাড়াও কেমো, রেডিয়েশন থেরাপি এবং অন্যান্য প্রণালীর (ইন্টারভেনশন) মাধ্যমেও এই চিকিৎসা হয়ে থাকে।

ব্রেন টিউমার অনেক সময় ব্রেন ক্যান্সার নামেও পরিচিত হয়। নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি হল ব্রেন টিউমার চিকিৎসার সর্বাধিক প্রচলিত পদ্ধতি:

সার্জারি

ব্রেন টিউমারের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকেরা সর্বপ্রথম টিউমারটি অপারেশন করে বাদ দেবার পরামর্শই দিয়ে থাকেন।

ছোট আকারের টিউমার, যেগুলি কম জটিল অংশে অবস্থান করে, সেগুলি অপারেশন করা তুলনামূলক ভাবে সহজ। কিন্তু যদি টিউমারটি আকারে বড় হয়, বা মস্তিষ্কের কোনো জটিল স্থানে থেকে থাকে, তবে তা অপারেশন করা অপেক্ষাকৃত কঠিন। এই ধরণের জটিল অপারেশনে অনেক ক্ষেত্রেই অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, যেমন দৃষ্টি বা শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ইত্যাদি। যাই হোক, স্নায়ু বিশেষজ্ঞ বা নিউরোসার্জেনরা চেষ্টা করেন যতটা সম্ভব টিউমার বাদ দেবার।

বর্তমানে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাযুক্ত হাসপাতালগুলি জটিল ব্রেন টিউমার অপারেশনের জন্য আধুনিক রোবোটিক সার্জারির সাহায্য নেন। এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের গভীরে অবস্থিত টিউমারও কোনো আনুষঙ্গিক ক্ষতি ছাড়াই অপারেশন করা যায়।

ব্রেন টিউমারের অন্যান্য চিকিৎসা

সার্জারি বা অপারেশন ছাড়াও মেটাস্ট্যাটিক বা ক্যান্সার আক্রান্ত ব্রেন টিউমার চিকিৎসার নানারকম পদ্ধতি রয়েছে। যেমন:

কেমোথেরাপি

কেমোথেরাপি হল মূলতঃ একটি ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ বা চিকিৎসা ব্যবস্থা, যা শরীরের অভ্যন্তরে অতি দ্রুতহারে বাড়তে থাকা ক্যান্সার সেল বা কোষগুলির বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে এবং তাদের নির্মূল করে। এই ওষুধ সাধারণতঃ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলা ক্যান্সার সেল বা কোষগুলিকে ধ্বংস করার মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

যদিও কেমোথেরাপির বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, তা সত্ত্বেও এটি ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সর্বাধিক প্রচলিত পদ্ধতি। এই চিকিৎসা পদ্ধতি রেডিয়েশন বা ক্যান্সারের অপারেশনের চাইতে আলাদা। কারণ, রেডিয়েশন থেরাপি বা অপারেশন ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষগুলিকে তাদের নির্দিষ্ট স্থানে লক্ষ্য করে চিকিৎসা করে। অন্যদিকে, কেমোথেরাপির ওষুধ মেটাস্টেসিস পর্যায়ে থাকা অর্থাৎ দেহের অন্যান্য অংশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ক্যান্সার সেলগুলিকেও ধংস করতে সক্ষম। (আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন: কেমোথেরাপি)

রেডিয়েশন থেরাপি

রেডিয়েশন থেরাপি হল এমন এক ধরণের ক্যান্সার চিকিৎসা যাতে ক্যান্সার সেলগুলি ধংস করার জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রশ্মি প্রয়োগ করে টিউমারটি বা টিউমারগুলিকে সঙ্কুচিত কর হয়। এই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রশ্মি ক্যান্সার সেলের ডি এন এ ধ্বংস করে শরীরের ক্যান্সার নির্মূল করে। ক্ষতিগ্রস্ত ডি এন এ বিশিষ্ট ক্যান্সার সেলগুলি আর বাড়তে পারেনা, ফলে তা ক্রমশঃ ধ্বংস হয়ে যায়। এরপর , সেই ধ্বংসপ্রাপ্ত কোষগুলি দেহের স্বাভাবিক নিয়মেই দেহ থেকে অপসারিত হয়ে যায়, এবং এইভাবে ক্যান্সার নির্মূল হয়। (আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন: রেডিয়েশন থেরাপি)

ব্র্যাকিথেরাপি

ব্র্যাকিথেরাপি হলো এক ধরণের রেডিয়েশন থেরাপি যাতে চালের দানার আকারের রেডিয়েশন সিড বা কণা টিউমার যেখানে অবস্থান করে, সেই অংশে একটি সরু সূঁচের মাধ্যমে স্থাপন করা হয়। এই প্রণালী আল্ট্রাসাউন্ড ইমেজিং পদ্ধতির সাহায্যে করা হয়। এই রেডিয়েশন কণাগুলি থেকে দীর্ঘ সময় ধরে আক্রান্ত অংশে মৃদু ক্ষমতা সম্পন্ন বিকিরণ হতে থাকে। নির্দিষ্ট সময় পর এই কণাগুলি থেকে বিকিরণ হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বিকিরণ বন্ধ হয়ে গেলেও এই কণাগুলি শরীর থেকে অপসারণ করার প্রয়োজন হয়না।

স্টিরিওট্যাকটিক রেডিও সার্জারি

স্টিরিওট্যাকটিক রেডিও সার্জারি (ঝজঝ) হল একধরণের অত্যাধুনিক রেডিও সার্জারি। এই পদ্ধতিতে মাল্টি ডাইমেনশনাল ইমেজিং ব্যবহার করে ক্যান্সার আক্রান্ত টিউমারটির ওপর উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রেডিয়েশন বীম ফেলা হয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতি আশেপাশের কোনো অংশের ক্ষতি না করে বা অন্যান্য সুস্থ স্বাভাবিক কোষের ওপর প্রভাব বিস্তার না করে শুধুমাত্র ক্যানসার আক্রান্ত টিউমারটির ওপর প্রতিক্রিয়া করতে সক্ষম। সর্বাধিক প্ৰচলিত ঝজঝ এর প্রণালীগুলি হলো:

লিনিয়ার অ্যাকসিলারেটর মেশিন। এর মধ্যে সাইবার নাইফ নামক যন্ত্র সর্বাধিক জনপ্রিয়।

গামা নাইফ (বর্তমানে বিশেষ ব্যবহার হয় না)

প্রোটন বীম থেরাপি। এটি একটি অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং কেবলমাত্র বিশেষ বিশেষ হাসপাতালে এটি উপলব্ধ।

ইমিউনোথেরাপি : ইমিউনথেরাপি, বা বায়োলজিক্যাল থেরাপি হল এক উন্নত ধরণের ক্যান্সারের চিকিৎসা। এই পদ্ধতিতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটিয়ে শরীরকে ক্যান্সারের সাথে লড়ার উপযোগী করে তোলা হয়, যাতে তা নিজেই ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। ইমিউনথেরাপিতে দেহে তৈরী হওয়া নিজস্ব উপাদান অথবা গবেষণাগারে তৈরী উপাদান ব্যবহার করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়।

ব্রেন টিউমার বেঁচে থাকার হার কি?

ক্যান্সার রিসার্চ অর্গানাইজেশন, যুক্তরাজ্যের মতে, পুরুষদের মধ্যে এক বছরের বেঁচে থাকার হার প্রায় ৪১% হতে পারে, এবং পাঁচ বছরের বেঁচে থাকার হার প্রায় ১৮%। অন্যদিকে মহিলাদের এক বছরের বেঁচে থাকার হার ৩৯% এবং পাঁচ বছরের বেঁচে থাকার হার প্রায় ২০%।

ব্রেন টিউমার এবং এর চিকিৎসা সম্পর্কে আরও জানতে, আপনি একটি কল ব্যাক করার জন্য অনুরোধ করতে পারেন এবং আমাদের মস্তিষ্কের টিউমার বিশেষজ্ঞ আপনাকে কল করবে এবং আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবে।

খালি পেটে যা খেলে উপকার
Prev Post খালি পেটে যা খেলে উপকার
ঈদ যাত্রার ১৩ দিনে সড়কে ঝরল ২৬২ প্রাণ
Next Post ঈদ যাত্রার ১৩ দিনে সড়কে ঝরল ২৬২ প্রাণ

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *