Search

ভারতের কাছে হেরে ফাইনালের স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের

  • 0
  • 5 views

স্পোর্টস ডেস্ক :

ব্যাটে আসেনি বড় স্কোর, বোলিংয়েও ভারতকে টেক্কা দিতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। অল্প পুজি নিয়ে লড়া সেমিফাইনালে তাই এসেছে ১০ উইকেটের বড় হার। এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টিতে শেষ চারেই থামতে হয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। ফাইনালের টিকিট আরেকবার পেয়েছে ভারত।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় প্রথমে ব্যাট করে বেশ ভুগেছে টাইগ্রেস ব্যাটাররা। দলের দুজন ব্যাটার ছুঁতে পেরেছে দুই অঙ্ক। বাকিদের আসা-যাওয়ার দিনে ৮ উইকেট হারিয়ে জমা পড়ে ৮০ রান। হারমনপ্রিত কৌরের দল সেটি টপকে যায় ৫৪ বল হাতে রেখে। ভারত হারায়নি একটি উইকেটও। আজ শুক্রবার অন্য সেমিতে নিশ্চিত হবে ভারতের প্রতিপক্ষ। সন্ধ্যায় পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশের দেওয়া ৮১ রানের লক্ষ্যে ভারতের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন শেফালি ভর্মা ও স্মৃতি মান্ধানা। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রসী ব্যাটিং করতে থাকেন এই দুই ওপেনার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক তুলে নেন মান্ধানা। টাইগ্রেস বোলারদের আর সুযোগ না দিয়ে ১১ ওভারেই জয় তুলে নেন হারমানপ্রিত কৌরের দল। শেষ পর্যন্ত ৫৫ রানে স্মৃতি ও শেফালি ২৬ রানে অপারিজিত থাকেন।

আগে ব্যাট করতে নেমে দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন দিলারা আক্তার ও মুর্শিদা খাতুন। রেনুকা সিংকে ছক্কা হাঁকিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও পরের বলেই আউট হন দিলারা।

দ্বিতীয় ওভারে পূজা ভাস্ত্রকরকে দুটি চার মারেন ইশমা তানজিম। তিন নম্বরে নামা বাংলাদেশের এই ব্যাটার এবার আউট হয়েছেন রেনুকার বলে। এক ওভার বিরতিতে এসে রেনুকা ফিরিয়েছেন মুর্শিদা খাতুনকে। টানা দুই ম্যাচে ফিফটি করা মুর্শিদা এবার আউট হয়েছেন ৯ বলে ৪ রান করে। পাওয়ারপ্লেতে (প্রথম ৬ ওভারে) বাংলাদেশ শেষ করেছে ৩ উইকেটে ২৫ রানে। ধীরগতির ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে পাওয়ারপ্লের পরও। দশম ওভারের প্রথম বলে রাধা যাদবের আর্ম বল বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে যান রুমানা আহমেদ। ১১ বলে ১ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।

একমাত্র আগলে খেলতে থাকা জ্যোতি দেখেছেন আরও দুই সতীর্থের বিদায়। রাবেয়া, রিতু দ্রুত দুই ব্যাটারের উইকেট হারালে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ১৩.৩ ওভারে ৪৪ রান। আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বর্ণা তুলনামূলক ভালো ব্যাটিং করেছেন। ১৮ বলে ২ চারে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। ওপেনার দিলারার ১৫০ স্ট্রাইকরেটের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট স্বর্ণার।

সপ্তম উইকেটে জ্যোতির সঙ্গে ৩৫ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন স্বর্ণা। শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে জোড়া উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি মেডেন দিয়েছেন যাদব। ওভারের প্রথম বলে জ্যোতি তুলে মারতে গেলে লং অনে দীপ্তি শর্মার তালুবন্দী হয়েছেন। তৃতীয় বলে বোল্ড করেছেন নাহিদা আকতারকে। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রেনুকা ও যাদব। দুজনেই ৪ ওভার করে বোলিং করেছেন। ১০ ও ১৪ রান খরচ করেছেন রেনুকা ও যাদব।

অ্যাপেন্ডিক্স ব্যথার ৭ লক্ষণ
Prev Post অ্যাপেন্ডিক্স ব্যথার ৭ লক্ষণ
সরবরাহ বাড়ায় কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম
Next Post সরবরাহ বাড়ায় কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *