Search

মাংস খেয়ে ভুলেও যেসব খাবার খাবেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক

  • 0
  • 2 views

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদুল আজহা উদযাপনের পর সবার ঘরে ঘরেই এখন কোরবানির মাংস। যে কারণে প্রতিদিনই মাংসের বিভিন্ন পদ রান্না করছেন অনেকে। কিন্তু আপনি কি জানেন, এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো মাংসের সঙ্গে কখনো খাওয়া উচিত নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোরবানির ঈদে সাধারণত চারপায়া প্রাণীকে কোরবানির জন্য বেছে নেয়া হয়। এই চারপায়া প্রাণীর মধ্যে রয়েছে গরু, মহিষ, ছাগল, খাসি, দুম্বা, ভেড়া, উট ইত্যাদি। যার সবই উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।

ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে তুলতে এসব উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে যোগ করা হয় আরও কিছু খাবারের আইটেম। এসব খাবারের আইটেম শরীরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও কিছু খাবার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে।

গরুর মাংস খাওয়ার পর একটি খাবার খাওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এটি কোন খাবার, চলুন জেনে নেই- ভারতের বিখ্যাত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক নিকিতা কোহলি সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে এই সম্পর্কে উপদেশ দিয়েছেন। তার মতে, মাংস খাওয়ার সঙ্গে বা খাওয়ার পর একটি খাবার খাওয়ার প্রবণতা আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক হতে পারে। এটি হলো দুধ। মাংস খাওয়ার পর দুধ বা দুধজাতীয় কোনো খাবার খাওয়া মোটেও উচিত নয়। কেননা, দুধ হজম হতে অনেক বেশি সময় নেয়।

অন্যদিকে মাংসও সহজে হজম বা শোষণ হয় না। তাই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে পেটে গ্যাস বা হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া মাংস আর দুধ দুটো খাবার পাচনক্ষমতার বিরুদ্ধে কাজ করে, যা পরিপাক তন্ত্রকে দুর্বল করার পাশাপাশি এর ক্ষতিসাধন করতে শুরু করে। এটি ত্বকের নানা সমস্যা, অ্যালার্জি, স্টমাক সমস্যা, হজমের সমস্যা, গ্যাস হওয়া, আলসারের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শুরু করে অ্যাসিড বা আরও রোগের কারণ হতে পারে। কোরবানির ঈদে ডেজার্ট হিসেবে দুধের পায়েস, ফিরনি থাকলে তা মাংস খাওয়ার পর পর খাবেন না। মাংস রান্নায় তরল দুধ ব্যবহার না করাই ভালো।

মাংসও আমাদের শরীরে সহজে হজম বা শোষণ হয় না। তাই এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে পেটে গ্যাস বা হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এছাড়া মাংসের সঙ্গে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন ডিম ও মাছের তৈরি নানা পদ। একসঙ্গে বিভিন্ন ক্যাটাগরির খাবার শরীরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে পাচনক্রিয়ায় গোলযোগ দেখা দেয়। যা থেকে সৃষ্টি হয় বমি বমি ভাব, বদ হজমসহ অস্বস্তিভাবের।

এমন খাদ্যাভ্যাস যদি নিয়মিতই আপনি চালু রাখেন তবে অ্যালার্জি ও আলসারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে রয়েছে ক্যানসারের ঝুঁকিও। তাই এমন খাদ্যাভ্যাস থেকে দূরে থাকুন।

তাই দ্রুত হজমের জন্য মাংসের সঙ্গে খাবারে প্রাধান্য দিতে পারেন দই, মিষ্টি জাতীয় খাবার, বোরহানি, পায়েস, ফিরনি, আইসক্রিম ইত্যাদি।

ফের বাড়লো সোনার দাম
Prev Post ফের বাড়লো সোনার দাম
পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘শরীফার গল্প’ বাদ দিয়ে যুক্ত হবে ‘হিজড়া’র গল্প
Next Post পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘শরীফার গল্প’ বাদ দিয়ে যুক্ত হবে ‘হিজড়া’র গল্প

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *