Search

মাথাঘোরা রোগ

লাইফস্টাইল ডেস্ক

  • 0
  • 4 views

লাইফস্টাইল ডেস্ক : 

মাথাই তো সব। মস্তিষ্ক ছাড়া কি আর অস্তিত্ব থাকে? মস্তিষ্ক ১০০ বিলিয়ন কোষ দিয়ে তৈরি। মস্তিষ্ক যতই ব্যবহৃত হয়, ততোই শক্তিশালী আর কার্যকর হয়। বয়স ৪০-এর পর মস্তিষ্ক ক্রমশ সংকুচিত হতে থাকে। তাই এসময় পড়াশোনার ধার কমে আসে। বয়স ৬০-এরপর মস্তিষ্ক দ্রুত সংকুচিত হতে থাকে। তাই এসময় অনেক স্মৃতি হারিয়ে যায়। তাই রোগের চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ করা ভালো। রোগ হলে রোগীর কষ্ট, চিকিৎসা, ওষুধ ইত্যাদিতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।

আসুন তাহলে জেনে নেই শিরঘূর্ণন মাথাঘোরা রোগ সম্পর্কে-

শিরঘূর্ণন মাথাঘোরা কী? এটি একটি সাধারণ দুর্বলতার লক্ষণ। কিন্তু সাময়িক না হয়ে যদি বারবার বা স্থায়ী উপসর্গ হয় তাহলে বুঝতে হবে এটার কোনো সুপ্ত সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যাকে ভার্টাইগো বা শিরঘূর্ণন রোগ বলে। কোনো মানুষ যখন নিচের দিকে তাকায় তখন তার মাথা ঘুরায়। এটা যেকোনো সময় হতে পারে বিনা কারণে। এর সাথে বমি থাকতে পারে। হঠাৎ মাটিতে মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারে। কানে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হতে পারে।

কারণ

কানের ভেতরকার কোনো সমস্যা থাকতে পারে। আবার অস্থিসন্ধি, মাংসপেশি বা চোখের সমস্যা থাকতে পারে।

রক্তচাপ ও হৃদরোগের ওষুধ অ্যালকোহল, কানের সংক্রমণ এবং যেসব রোগ ধমনি ও মস্তিষ্ক যেমন ডায়াবেটিস, স্ট্রোক অথবা মেরুদণ্ডের রজ্জু আহত হওয়া।

উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপ, রক্তের শর্করা, কানের ময়লা, রক্তশূন্যতা ও ঠাণ্ডা লেগে কান বন্ধ হওয়া।

লক্ষণ

সব সময় মাথাঘোরা অনুভূতি, ভারসাম্যহীন চলাফেরা, এক দিকে চলা, বমি বমি ভাব, অস্বাভাবিক চোখ কাঁপুনি, মাথাব্যথা, ঘাম হওয়া, কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ হওয়া, কানে না শোনা- এমন চলে কয়েক ঘণ্টা, কয়েক মাস। তারপর চলে যায়, কিন্তু আবার ফিরে আসে।

রোগ নির্ণয়

চিকিৎসক বেশ কয়েকটি টেস্ট দিতে পারেন রোগ নির্ণয়ের জন্য। এ ছাড়া রোগীকে প্রশ্ন করতে পারেন-

* আপনার এমন অবস্থা কি সব সময় থাকে বা চলে? চলাফেরা করলে কি এটা হয়? যখন ক্লান্ত থাকেন তখন কি এই অবস্থা বাড়ে? না খেয়ে থাকলে, অন্ধকারে কিংবা বাইরে চলাফেরা করলে বাড়ে?

* শুয়ে, বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে এ অবস্থা বাড়ে, নাকি কমে?

* বর্তমানে অন্ধকারে চলতেও কি ভয় পান? একা একা হাঁটাচলার কি ভয় হয়? কেনাবেচা হয় যেসব জায়গায় সেখানে যেতে ভয় পান? পড়াশোনা, টিভি দেখতে, কম্পিউটার চালাতে, ভ্রমণে গেলে শয্যা থেকে উঠলে, গৃহস্থালি কাজ করতে আপনি কি ভয় পান?

* যেকোনো প্রকার শারীরিক পরিশ্রম করলে কি আপনার এ সমস্যা বাড়ে?

* আপনার সমস্যাকে কি আপনি নগণ্য মনে করেন? এমন ধরনের নানা প্রশ্ন করতে পারেন চিকিৎসক। চিকিৎসা- এ অবস্থা আপনা-আপনি ভালো হয়ে যায়। যদি না যায় তবে চিকিৎসা প্রয়োজন।

ওষুধ

সংক্রমণ, বমি, ঘুম ঘুম ভাব ও অ্যালার্জি দূরীকরণে ওষুধের সাথে মাল্টিভিটামিন দেয়া হয় স্নায়ুকে উজ্জীবিত করতে। ফিজিক্যাল থেরাপি প্রয়োগে এ অবস্থার উন্নতি হতে পারে। তা ছাড়া সার্জারির মাধ্যমেও উন্নতি হয়। তবে সার্জারি করা হয় সর্বশেষ পর্যায়ে। জিমে গিয়ে বিশেষজ্ঞের নির্দেশ মোতাবেক ব্যায়ামেও অবস্থার উন্নতি হয়। এ ছাড়া ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ জরুরি। দিনে তিন লিটারের বেশি পানি পান করা যাবে না। সবশেষে চিকিৎসকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা অত্যাবশ্যক।

অ্যান্ডারসনের বিদায়ী টেস্টে ইংল্যান্ডের বড় জয়
Prev Post অ্যান্ডারসনের বিদায়ী টেস্টে ইংল্যান্ডের বড় জয়
Next Post

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *