Search

মার্টিনেজ বীরত্বে কোপার সেমিতে আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্ক

  • 0
  • 4 views

স্পোর্টস ডেস্ক : 

পেনাল্টি শুট আউটের প্রথম শট লিওনেল মেসি মারলেও তার শট বারপোস্টে লেগে চলে যায় ওপরে। তখন হতাশা নেমে আসে পুরো আর্জেন্টিনা শিবিরে। কিন্তু ইকুয়েডরের পরপর দুই শট রুখে দিয়ে আর্জেন্টাইনদের জয়ের নায়ক হয়ে গেলেন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) টেক্সাসের হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে কোপার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর পেনাল্টি শুট আউটে ইকুয়েডরকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ফলে কোপার সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলল মেসিরা।

নির্ধারিত সময়ে একটি পেনাল্টি পেয়েছিল একুয়েডর। এমিলিয়ানো ভুল দিকে ঝাঁপ দিলেও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এনের ভালেন্সিয়া। ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ফিরতি বলে একুয়েডর অধিনায়কের শট ঠেকিয়ে দেন ক্রিস্তিয়ান রোমেরো। বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা।

ম্যাচজুড়েই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে সমানে-সমান লড়াই করে একুয়েডর। বলের নিয়ন্ত্রণে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে তেমন ধার দেখাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ম্যাচে ৮ শটের মাত্র ২টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। একুয়েডরের ৯ শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে।

শঙ্কা উড়িয়ে মেসির নেতৃত্বেই খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে খেলতে থাকে শিরোপাধারীরা। কিন্তু আক্রমণে ছিল বেশ জড়তা, যেতে পারছিল না একুয়েডরের ডি-বক্সের কাছে।

ষষ্ঠ মিনিটে থ্রো-ইন থেকে বল পেয়ে আর্জেন্টিনার বক্সে ঢুকে যান মোইসেস কেইসেদো। শেষ মুহূর্তে রদ্রিগো দে পলের চ্যালেঞ্জে ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি তিনি।

পঞ্চদশ মিনিটে প্রথম বড় সুযোগ তৈরি করে একুয়েডর। ছয় গজের বক্সের বাম পাশ থেকে হেরেমি সারমিয়েন্তোর শট দারুণ রিফ্লেক্সে বাম পা বাড়িয়ে ঠেকিয়ে দেন মার্তিনেস। ফিরতি বলে জোরাল শটে লক্ষ্েয রাখতে পারেননি কেন্দ্রি পায়েস।

২১তম মিনিটে নিজেদের প্রথম সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। মেসি ডান পাশ থেকে দূরের পোস্টে খুঁজে নেন নিকোলাস গনসালেসকে। ঠিক মতো শট নিতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড, জটলায় হারিয়ে যায় বল। ৬ মিনিট পর বাই লাইন থেকে বক্সের ভেতরে ক্রস দেন নাহুয়েল মলিনা। ভালো জায়গায় পেলেও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এনসো ফের্নান্দেস। তিন মিনিট পর মাক আলিস্তেরকে অহেতুক ফাউল করে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন ভালেন্সিয়া।

৩৪ মিনিটে একুয়েডরের আক্রমণ সামলে নিজেদের অর্ধ থেকে থ্রু পাস দেন মেসি। বড় সুযোগ পেয়ে যান এনসো। কিন্তু একমাত্র ডিফেন্ডারের শরীর বরাবর শট নেন চেলসির হয়ে খেলা তরুণ মিডফিল্ডার। ওই কর্নার থেকেই পরে গোল করে আর্জেন্টিনা। মেসির কর্নার কাছের পোস্ট থেকে ফ্লিক করে দূরের পোস্টে পাঠান মাক আলিস্তের। আলতো করে হেডে ফাঁকা জালে বল পাঠান লিসান্দ্রো মার্তিনেস।

আর্জেন্টিনার হয়ে এটিই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডার লিসান্দ্রোর প্রথম গোল। চলতি কোপা আমেরিকায় এটিই প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার প্রথম গোল। এগিয়ে যাওয়ার পর উন্নতি ঘটে আর্জেন্টিনার খেলায়। আরও ধারাল হয়ে ওঠে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের আক্রমণ।

বিরতির আগে আরেকটি সুযোগ পান এনসো। দে পলের এগিয়ে দেওয়া বল বাম পায়ের শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। দূরের পোস্টে কাছাকাছি থাকলেও নাগাল পাননি লাউতারো মার্তিনেস।

দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনার রক্ষণে চাপ দিতে থাকে একুয়েডর। অনেকটাই বিবর্ণ ফুটবল খেলতে দেখা যায় আর্জেন্টিনাকে।

এর মাঝেও প্রথম সুযোগটা তারাই পায়। ৫৫তম মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে এমিলিয়ানোর লম্বা ফ্রি কিক ফাঁকায় পেয়ে যান লাউতারো। কিন্তু বুক দিয়ে নামিয়ে বাম পায়ের শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইন্টার মিলানের ফরোয়ার্ড।

মিনিট পাঁচেক পর কর্নার থেকে আসা বল দে পলের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ভালেন্সিয়ার শটে বাম দিকে ঝাঁপ দেন এমিলিয়ানো। তবে বল লাগে ডান পাশের পোস্টে। অক্ষত থাকে আর্জেন্টিনার জাল।

৬৫তম মিনিটে লাউতারোর জায়গায় আলভারেসকে নামান স্কালোনি। দুই মিনিট পর দে পলের উঁচু করে এগিয়ে দেওয়া বল ডি বক্সের বাম পাশে অনেকটা ফাঁকায় পেয়ে যান মেসি। কিন্তু ডান পায়ের দুর্বল শট গোলরক্ষক বরাবর মারেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। ৭৬তম মিনিটে সারমিয়েন্তোর বদলি নামেন রদ্রিগেস। দুই মিনিট পর হন ইয়েবোয়াকে নামান ফেলিক্স সানচেস। দুই বদলি খেলোয়াড়ই ম্যাচে ফেরান একুয়েডরকে।

যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ইয়েবোয়ার ক্রসে ফ্লিক করে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে পাঠান কেভিন রদ্রিগেস। চলতি টুর্নামেন্টে এটিই আর্জেন্টিনার জালে প্রথম গোল। লম্বা সময় সম্ভাব্য অফসাইডের জন্য ভিএআর সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করেন রেফারি।

পরে শেষ বাঁশি বাজার আগে পেনাল্টি স্পটের কাছে ফাঁকায় বল পেলেও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি জর্দি কেইসেদো। বড় এই সুযোগ হাতছাড়া করার পর টাইব্রেকারেও ব্যর্থতায় একরাশ আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নেয় একুয়েডর। খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে টিকে যাওয়ার আনন্দে মাঠে আর্জেন্টিনা।

এরপর গোল পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে আরও একবার ভুলে যাওয়ার মতো ফুটবল ছিল আর্জেন্টিনার। তারপরে গোলবারের বিশ্বস্ত প্রহরী এমি মার্টিনেজ দলকে টেনে তুললেন সেমিফাইনালে। শনিবার (৬ জুলাই) ভেনেজুয়েলা এবং কানাডা ম্যাচের বিজয়ী দলকে শেষ চারে মোকাবিলা করবে আর্জেন্টিনা।

কেন খাবেন আখের রস
Prev Post কেন খাবেন আখের রস
বারবার ক্ষুধা লাগার কারণ
Next Post বারবার ক্ষুধা লাগার কারণ

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *