Search

যেসব খাবার শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়ায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

  • 0
  • 2 views

লাইফস্টাইল ডেস্ক : 

চিপস, আইসক্রিম, পিৎজা, চকোলেট, বার্গার হলো বাচ্চাদের পছন্দের খাবার। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই খাবারগুলো পেলে তাদের আর কিছুর প্রয়োজন হয় না। এসব খাবার পেলে তারা অনেক বেশি খুশি হয়। তবে বাচ্চারা যতই খুশি হোক না কেন, এই ধরনের খাবার তাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। পুষ্টি ও বুদ্ধিমত্তার বিকাশে শিশুকে খাওয়াতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার।

অনেক সময় শিশুদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ কমে যায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বাচ্চাকে নিয়মিত ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ানো ভালো। এ ছাড়া কাঠবাদাম, আমন্ড, খেজুর, পেস্তা, অ্যাপ্রিকটের মত ড্রাই ফ্রুটস খাওয়াতে পারেন। এতে আছে ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম। যা বাচ্চার স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আজকের প্রতিবেদনে তেমনই কিছু খাবারের নাম জানাবো, যা আপনার শিশুর মানসিক বিকাশ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক:

বেরি

ব্লুবেরি, স্ট্রবেরিজাতীয় ফলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেক বেশি। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড স্মৃতিশক্তি প্রখর করে তোলে। ফলে বাড়ন্ত বয়সে এ ধরনের ফল বেশি করে খাওয়াতে হবে। বেরি মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহজনিত সমস্যা থেকে দূরে রাখে।

পালং শাক

পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে অন্যান্য যেকোনো শাকেও প্রায় একই ভিটামিন-মিনারেলস রয়েছে। যা সামগ্রিক মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বাচ্চারাই শাক জাতীয় কোনো খাবার তেমন খেতে চায় না। সেক্ষেত্রে এগুলোকে সালাদ, স্মুদি বা স্যুপে ব্যবহার করে খাওয়ানো যেতে পারে। এতে বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশ দ্রুত ঘটবে।

দই

দইকে একরকম আদর্শ খাবার বললে ভুল হবে না। বহু প্রোটিন ও প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ এই খাবারে আপনার শিশুর মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতেও বেশ কার্যকর। বাচ্চাকে স্ন্যাক্স হিসেবে বা স্মুদিতে কিংবা ফলের সাথে খাওয়ানো যেতে পারে।

অ্যাভোকাডো

স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর একটি ফল অ্যাভোকাডো। যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বেশ কার্যকরী। সালাদের সঙ্গে ব্যবহার করে কিংবা টুকরো করে কেটে খাওয়ানো যেতে পারে।

চর্বিযুক্ত মাছ

স্যামন, সার্ডিন কিংবা ট্রাউটসহ প্রায় সব তেলের মাছ ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। বিশেষ করে এই মাছগুলোতে রয়েছে ডিএইচএ। যা মস্তিষ্কের বিকাশ এবং কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। ভেজে কিংবা বেকড করে অন্যতম সেরা উপায় হতে পারে এই মাছগুলো। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে দুটি খাওয়ানো যেতে পারে।

রঙিন সবজি

বাজারে রঙিন সবজির অভাব নেই। টোম্যাটো,লাল আলু, কুমড়া ও গাজরে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান। যা মস্তিষ্কের স্নায়ু ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ক্যারোটিনয়েডের জুড়ি মেলা ভার। প্রতিটি রঙিন সবজিতেই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ভরপুর মাত্রায় থাকে। যা মস্তিষ্কের কোষ বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শাকও খাওয়াতে পারেন।

ডিম

ডিমে প্রচুর পরিমাণে কোলিন রয়েছে, যা অ্যাসিটাইলকোলিনের পূর্বসূরী। এই খাদ্য উপাদান স্মৃতিশক্তি এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি নিউরোট্রান্সমিটার। নিয়মিত সেদ্ধ ডিম খাওয়ানো যেতে পারে।

ডার্ক চকোলেট

বেশিরভাগ কোকোসহ যেকোনো ডার্ক চকোলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড ও ক্যাফেইন রয়েছে। এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর পাশাপাশি মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। মাঝেমধ্যে ট্রিট হিসেবে বা পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত। দুপুরে কিংবা রাতে খাবার শেষে ছোট এক টুকরা চকোলেট খাওয়ানো যেতে পারে। এতে বাচ্চাদের মনও ভালো হবে।

লিভার সুস্থ রাখার সহজ উপায়
Prev Post লিভার সুস্থ রাখার সহজ উপায়
লঙ্কান লিগে খেলতে দেশ ছাড়লেন হৃদয়-তাসকিন-মোস্তাফিজ
Next Post লঙ্কান লিগে খেলতে দেশ ছাড়লেন হৃদয়-তাসকিন-মোস্তাফিজ

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *