Search

যেসব পানীয়তে নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ রক্তচাপ

লাইফস্টাইল ডেস্ক

  • 0
  • 1 views

লাইফস্টাইল ডেস্ক : 

এক সময় ধরে নেয়া হত কেবল বয়স্ক মানুষ অর্থাৎ ৪০ বছরের বেশি হলেই কারো উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা তৈরি হয়। কিন্তু এখন চিকিৎসকেরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অল্পবয়সীদের মধ্যেও এ রোগ দেখা যাচ্ছে। আধুনিক জীবনযাত্রায় এই রোগ খুবই ব্যাপক হারে দেখা যাছে।

উচ্চ রক্তচাপের অবস্থাকে হাইপারটেনশন বলা হয়। অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ-এর উপসর্গগুলি স্বাভাবিক ভাবে বুঝে উঠতে পারেন না।

উচ্চ রক্তচাপ কি?

একজন সুস্থ মানুষের রক্তচাপ থাকার কথা ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। কিন্তু সেটি যদি কারো পরপর দুইদিন ১৪০/৯০ এর বেশি থাকলে তখন সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বলে চিহ্নিত করা হয়। তবে রোগীর বয়স ৮০ বছর বা তার বেশি হলে রক্তচাপের পরিমাপক বেশি হবে।

রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ

উচ্চ রক্তচাপের নির্দিষ্ট কোন কারণ না থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক কারণের সাথে বংশগতির সম্পর্ক থাকে।

অনেক সময় আবার অল্প বয়সে যাদের উচ্চ রক্তচাপ শনাক্ত হয়, তাদের রক্তচাপ বেশি থাকার কিছু কারণ দেখা যায়, যার কারণে কারো রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে:

কিডনি সমস্যা

রক্তনালী সরু হয়ে গেছে

হরমোন সমস্যা

থাইরয়েড সমস্যা, পিটুইটারি গ্লান্ডের সমস্যা

মস্তিষ্কে কোন সমস্যা থাকলে

স্টেরয়েড গ্রহণের ধারাবাহিকতা থাকলে

যেসব পানীয়তে নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ রক্তচাপ
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ডায়েটে কয়েকটি পানীয়কে জায়গা করে দিলেই এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।

বিটের জুস

অতি পরিচিত বিটে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল থেকে শুরু করে একাধিক উপকারী উপাদান। বিশেষত, হাই ব্লাড প্রেশারের রোগীদের জন্য বিটের তরকারি খাওয়ার পাশাপাশি এর জুস খেলেও উপকার মিলবে। কারণ, এতে রয়েছে নাইট্রেটের ভাণ্ডার যা প্রেশার কমায়। তাই হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীদের জন্য এই সবজির জুস অনেক উপকারি।

টমেটো জুস

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সিদ্ধহস্ত টমেটো। বিশেষ করে ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে জুড়ি মেলা ভার। টমেটোতে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম রয়েছে যা শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমাতে পারে। এ কারণে এই সবজি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। হেলথলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টমেটোতে লাইকোপেন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা হৃদরোগের জন্য উপকারী।

বেদানার রস

বেদানাতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ফোলেট। এটি শরীরে রক্ত বৃদ্ধির পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্যও করে। বেদানায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমায়। এছাড়া এতে থাকা এক ধরনের প্রোটিন রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্ত চলাচল সচল রাখে। রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত এই ফলের রস করে খেতে ভুলবেন না যেন!

বেরিজুস

রক্তচাপ কমাতে ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরির মতো ফলের রসের উপর ভরসা রাখা যেতে পারে। কারণ, এসব ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। যেই কারণে বেরি জাতীয় ফলের জুস খেলে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ নয়, এর পাশাপাশি ইমিউনিটি বৃদ্ধি করা, হার্টের হাল ফেরানো সহ একাধিক কাজে সাহায্য করে এসব ফলের জুস।

কমিউনিটি ক্লিনিক এখন সারাবিশ্বে সমাদৃত : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
Prev Post কমিউনিটি ক্লিনিক এখন সারাবিশ্বে সমাদৃত : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাছ খেলে হার্ট ভালো থাকে
Next Post মাছ খেলে হার্ট ভালো থাকে

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *