Search

রাজধানীতে আরো হলিডে মার্কেট চালুর পরিকল্পনা : সংসদে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

  • 0
  • 2 views

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীতে আরও হলিডে মার্কেট চালুর পরিকল্পনা আছে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের করা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

রাজধানী ঢাকার ফুটপাতে যত্রতত্র বাজার/দোকান বসানো বন্ধ করে একটি হলিডে মার্কেট নির্ধারণ করে হকারদের পুনর্বাসনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না- মন্ত্রীর কাছে জানতে চান নাছিম।

জবাবে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এরই মধ্যে ৫টি স্থানে হলিডে মার্কেট চালু করা হয়েছে। সেগুলো হলো, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনে, গুলিস্তান জিপিও সংলগ্ন বায়তুল মোকাররম লিংক রোড, সেগুনবাগিচা বিভাগীয় অফিস সংলগ্ন কার্পেট গলি, মতিঝিল দিলকুশা ইউনুস টাওয়ারের সামনে ও গুলিস্তান-নবাবপুর রোড।

তিনি বলেন, রাজধানীতে আরও হলিডে মার্কেট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন বঙ্গবন্ধু হকার্স মার্কেট, গুলিস্থান ট্রেড সেন্টার, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট, শেরে বাংলা হকার্স মার্কেট, সদরঘাট হকার্স মার্কেটসহ আরও মার্কেটে এর আগে হকারদের দোকান বরাদ্দের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ২৩নং ওয়ার্ড বেড়িবাঁধ সেকশন থেকে হোসেন উদ্দিন খান প্রথম লেন পর্যন্ত সাপ্তাহিক বাজারে হকাররা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করছেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য নিয়ন্ত্রিত স্ট্রিট ভেন্ডর পদ্ধতি প্রচলন করা হয়েছে। শহরের যেসব সড়কে ছুটির দিনে যানবাহন চলাচল কম থাকে সেসব সড়কে নিয়ন্ত্রিত স্ট্রিট ভেন্ডর পদ্ধতিতে হলিডে মার্কেট চালু করা হয়েছে। পথচারীদের চলাচলের জন্য রাজধানীর ফুটপাত সবর্দা উন্মুক্ত থাকে, কিন্তু কিছু দখলদার বেআইনিভাবে মাঝেমধ্যে ফুটপাত দখল করে নিজ নিজ ব্যবসা পরিচালনা করেন। জনস্বার্থে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় অবৈধ দখল/ফুটপাত উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাইদ খোকনের করা লিখিত প্রশ্নের জবাবে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বায়ু দূষণের প্রধানতম কারণগুলোর অন্যতম হচ্ছে, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, কলকারখানা ও ইটের ভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া। এছাড়া নগরায়ণের ফলে সৃষ্ট ধূলি দূষণ। বায়ু দূষণে ল্যান্ডফিলের নির্গত মিথেন গ্যাসের প্রভাব আশঙ্কাজনক নয়। আমরা মিথেন গ্যাস নির্গত নিয়ন্ত্রণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন সংক্রান্ত প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম প্রশ্ন করেন দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ বর্জ্য উৎপাদন হয়; তার ৩০ শতাংশের বেশি হয় রাজধানীতে; এই বর্জ্যকে রিসাইকেলিং করে দূষণ রোধসহ সম্পদে রূপান্তর করা সম্ভব। সরকার এই বিষয়ে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেছে কি না?

জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুসরণে থ্রি আর (রিডিউস, রি-ইউজ অ্যান্ড রিসাইকেল) কৌশল পরিকল্পনায় বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন প্রকল্প (পরিবেশবান্ধব আধুনিক থার্মাল পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পরিকল্পনা) গ্রহণ করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম জানান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন এলজিইডির আওতায় দেশব্যাপী পল্লী ও নগর অঞ্চলে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ হাজার ৭৮০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ১৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, ২১ হাজার মিটার ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ, ১৯ হাজার মিটার ব্রিজ/কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ, ৯০টি গ্রোথ সেন্টার/হাটবাজার উন্নয়ন, ৫০টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, ২৫টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন, ৪০০ কিলোমিটার খাল খনন/পুনঃখনন, ৫০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়া নগর অঞ্চলে ৫০৭ কিলোমিটার সড়ক/ফুটপাত নির্মাণ, ১৮০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ৩৫টি ল্যাট্রিন নির্মাণ, ২টি বাস/ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, ৩৫ কিলোমিটার সড়ক মেরামত ও ৪ হাজার ৩৫০টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে।

 

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পিত নগরায়ণ ও বসবাস উপযোগী ঢাকা নির্মাণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃক ভূমি উন্নয়ন, ইমারত নির্মাণ বা পুনর্র্নিমাণ অনাপত্তি বিষয়ক প্রবিধান প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই প্রবিধানের কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে রাজধানী ঢাকায় অনিয়ন্ত্রিত ভবন নির্মাণ বন্ধ ও জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে। ফলে পরিকল্পিত নগরায়ণে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে।

১ জুলাই থেকে ঢাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
Prev Post ১ জুলাই থেকে ঢাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
১১ আগস্টের পর হবে সিলেট বোর্ডের স্থগিত পরীক্ষা
Next Post ১১ আগস্টের পর হবে সিলেট বোর্ডের স্থগিত পরীক্ষা

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *