Search

শসা খেলে মিলবে যেসব উপকারিতা

  • 0
  • 10 views

শীতকাল সকলের জন্য বেশ মজার। এ সময়টা বলতে গেলে ভোজের উৎসব। সারা বছরের সেরা খাবারগুলো পাওয়া যায় এই সময়টাতেই। তাই খেদ মিটিয়ে খেয়ে নেন সকলে। কাবাব-কেক-মিষ্টি সবই গোগ্রাসে খেয়ে নেন। আর এই সব খাবার থেকে শরীরে জমা হয় টক্সিন। খারাপ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যারও সম্মুখীন হতে হয়।

শরীরকে টক্সিন মুক্ত রাখতে সাহায্য করে শসা। এমন কী এই সবজি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। সুস্থ ও ফিট থাকার জন্য শরীর ডিটক্স থাকা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে শসায় প্রচুর পরিমাণে জল-সহ ভিটামিন ঈ এবং ক রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদদের মতে, এই সবজির মধ্যে ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এই উপকারী উপাদানগুলি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। চিকিৎসকরা বলেন, এই ফল ডায়াবিটিস রোগকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

শরীরকে সতেজ ও সজীব রাখতে শসার কোন বিকল্প নেই। শসায় রয়েছে শতকরা ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ পানি, তাই গরমে শসা খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় পানির অভাব দূর হয়। এছাড়াও নিয়মিত শশা খেলে রয়েছে আরো অনেক সুবিধা।

যেহেতু খাবারের তালিকায় শসা যোগ করা খুব সহজ, তাই সারাবছরই এটি আপনি খেতে পারেন। ওজন কমানো, হৃদপিণ্ডের ভালো রাখা, ব্যথায় প্রশান্তি দেওয়া ইত্যাদি হলো শসার উপকারিতা। শসা খাওয়ার আরও অনেক দুর্দান্ত উপকারিতা রয়েছে।

ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে : আমাদের রোজকার জীবনে যে সব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশির ভাগটাই শসার মধ্যে থাকে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় সস্তার এই সবজি খেলে। গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে ভিটামিনের ঘাটতিও পূরণ করবে।

 

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে : নিয়মিত শসা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। শসায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে। তাই, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে চাইলে নিয়মিত শসা খান।

 

মেদ কমাতে : শরীরের অতিরিক্ত ওজন হ্রাস করতে শসার জুড়ি নেই। ওজন কমানোর জন্য শসায় রয়েছে বিভিন্ন ক্যালরিযুক্ত উপাদান। তাই ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে চাইলে আজ থেকেই নিয়মিত শসা খাওয়ার অভ্যেস করুন।

 

হৃদযন্ত্রের সুস্থতা: শসাতে আছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন কে। এই তিনটি উপাদান হৃদযন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম গ্রহণের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত শসা খাওয়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধা এবং রক্তে ক্যালসিয়াম প্রবাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

 

আর্দ্রতা রক্ষা : শসার ৯৫ শতাংশই পানি যা শরীর আর্দ্র রাখতে ও পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত পানি পানের কথা ভুলে গেলেও প্রতিদিন শসা খাওয়া হতে পারে উপকারী।

 

হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা: শসাতে আছে ফসফরাস যা হরমোন নিয়ন্ত্রণকারী মূল পুষ্টি উপাদান। শসাতে প্রায় চার শতাংশ ফসফরাস থাকে যা প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রয়োজন। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিনের খাবার তালিকায় শসা রাখুন।

 

ত্বক কোমল ও উজ্জ্বল করে: এর ঠাণ্ডা ও আর্দ্র রাখার উপাদান মলিন ও শুষ্ক ত্বক সতেজ করতে সাহায্য করে। এর ভিটামিন বি-নায়াসিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি এবং জিংক ত্বকের উজ্জ্বলতা রক্ষা করে। বিউটি ক্রিমের বদলে নিয়মিত শসা খাওয়া ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়ক।

 

দেহে ভেতর-বাইরের তাপ শোষক : কখনও কখনও আপনি শরীরের ভেতর-বাইরে প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করেন। দেহে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এ অবস্থায় একটি শসা খেয়ে নিন। সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘষে নিন। নিশ্চিত ফল পাবেন।

 

বিষাক্ততা দূর করে : শসার মধ্যে যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাঁটার মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খাওয়ায় কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়।

 

হজম ও ওজন হ্রাসে সহায়ক : শসায় উচ্চমাত্রায় পানি ও নিুমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে। যারা দেহের ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য শসা আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করবে। তারা স্যুপ ও সালাদে বেশি বেশি শসা ব্যবহার করবেন। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর হয়।

 

চোখে জ্যোতি বাড়ায় : সৌন্দর্যচর্চার অংশ হিসেবে অনেকে শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন। এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন অপসারিত হয়, তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে। চোখের প্রদাহ প্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে।

ভ্রু ঘন করার উপায়
Prev Post ভ্রু ঘন করার উপায়
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করণীয়
Next Post উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করণীয়

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *