Search

সিজারের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

  • 0
  • 3 views

লাইফস্টাইল ডেস্ক : 

বর্তমানে অধিকাংশ মায়ের সন্তান প্রসব হয় সি সেকশন বা সিজারের মাধ্যমে। সন্তান জন্মের পর মা এই কাটা দাগ নিয়েই পরবর্তী জীবন কাটিয়ে দেন। এছাড়াও জন্মের পর সন্তানকে দেখাশোনায় মায়েরা আরও বেশি ব্যস্ত হয়ে যায়। তাই নিজের যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় না। যদিও এখন লেজারের মাধ্যমেই সন্তান জন্মের দাগ দূর করা যায়। তবে তা কেবল উচ্চবিত্তের জন্য। কারণ এই প্রক্রিয়ায় গুনতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা।

চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, যদি মা আগে থেকেই সচেতন থাকে তাহলে সিজারের কাটা দাগ চলে যাবে শরীর থেকে। এজন্য মাকে ঘরোয়া কিছু উপকরণ ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত। ডেলিভারির পর থেকেই ভেষজ এই উপাদানগুলো সদ্য মা হওয়া নারীদের অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক সিজারের দাগ দূর করার কয়েকটি ঘরোয়া উপায়-

অ্যালোভেরা জেল

মাতৃত্বজনিত দাগের জন্য অ্যালোভেরা জেল সবচেয়ে ভালো উপকরণ। পোড়া ক্ষতই হোক বা অপারেশনের দাগ যেকোনো দাগ সারাতে অ্যালোভেরা সমান উপকারী। কারণ অ্যালোভেরা তে আছে অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরী প্রপার্টিস এবং প্রাকৃতিক নিরাময় এজেন্ট যা দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। একটি অ্যালোভেরার পাতা নিয়ে চা চামচ দিয়ে এর জেল করে নিয়ে তা দাগের জায়গায় ম্যাসাজ করুন। ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানিতে দিয়ে ধুয়ে নিন। কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করলেই দেখবেন দাগ অনেকাংশে কমে এসেছে।

চিনি

মাতৃত্বজনিত দাগ দূর করার জন্য চিনির এই মিশ্রণটি খুবই উপকারী। একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ চিনি, আধা চা চামচ অলিভ অয়েল, কয়েক ফোটা লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং দাগের জায়গায় ভালোকরে কিছুক্ষন ম্যাসাজ করুন। প্রতিদিন গোসলের আগে এই মিশ্রণটি ম্যাসাজ করতে পারেন। লেবু তে আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং প্রপার্টিস, অলিভ অয়েল এ আছে অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরী প্রপার্টিস এবং চিনি প্রাকৃতিক স্ক্র্যাব যা ত্বক এক্সফোলিয়েট করে। তাই এই মিশ্রণটি নিয়মিত ব্যবহারে আস্তে আস্তে আপনার দাগ হালকা হতে থাকবে।

কোকোয়া বাটার

সিজারের দাগ দূর করতে আরেকটি উপকারী উপাদান হল কোকোয়া বাটার। কোকোয়া বাটারে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যালস এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিজারের দাগ হালকা করতে বেশ উপকারী কাজ করে। একই সঙ্গে কোকায়া বাটার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে, সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মির ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে ,ত্বকের দাগ বা অন্যান্য চিহ্নগুলি মসৃণ করে আর্দ্র ও নমনীয় রাখতে সাহায্য করে।

ভিটামিন-ই তেল

ত্বকের নিচে কোলাজেন প্রোটিনের বিভাজন ঘটে। এই বিভাজনে সাহায্য করে ভিটামিন-ই। তবে এই নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন ভিটামিন-ই তেল মাসাজ করলে দেরিতে হলেও কোলাজেনের উপর একটি প্রভাব পড়ে। যার ফলে কোলাজেনের বিভাজন শুরু হয়। কোলাজেনের বিভাজনই ত্বকের নিচে নতুন স্তর তৈরি করতে সাহায্য করে। যার ফলে সিজারের দাগ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়।

লেবুর রস

দাগ মিলিয়ে যেতে লেবুর ভূমিকা বাকিদের থেকে আলাদা। অর্থাৎ এটি কোলাজেনকে ভাঙতে সাহায্য করে না। বরং এটির কাজ অনেকটা প্রাকৃতিক ব্লিচের মতো। নিয়মিত লেবুর রস প্রয়োগ করলে সিজারের দাগ ব্লিচের জন্য হালকা হয়ে আসে। তুলায় করে রোজ লেবুর রস নিয়ে দাগের অংশে লাগান। ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর তা ধুয়ে ফেলুন । বিশেষজ্ঞরা বলেন, সবসময় প্রাকৃতিক লেবুই ব্যবহার করা উচিত।

আলুর রস

আলুর রসও লেবুর রসের মতোই কাজ করে। ব্রণ হলে অনেকেই আলু কেটে ব্রণের উপর তা বারবার বোলান। এতে আলুর রস সেখানে ছড়িয়ে পড়ে। আলুর রসও একটি প্রাকৃতিক ব্লিচ। যা দাগকে হালকা করতে সাহায্য করে। সিজারের দাগের ক্ষেত্রেও নিয়মিত আলুর টুকরো কেটে ব্যবহার করুন। এবার ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।

টি ব্যাগ

চা-এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিজারের দাগ হালকা করতে খুব উপকারী। গ্রিন টি-র ব্যাগ গরম পানিতে চুবিয়ে সরাসরি সিজার হওয়া অংশে রাখুন। প্রতিদিন তিন থেকে চারবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় ধরে এটি করলে সিজারের দাগ ধীরে ধীরে হালকা হতে থাকে।

মধু

সর্দি-কাশি, ব্রণ বা পোকার কামড় সবেতেই মধু অত্যন্ত কার্যকরী। এসবের পাশাপাশি সিজারের দাগ দূর করতেও এর ভূমিকা কম নয়। মধু সিজার হওয়া অংশের গাঢ় দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও এটি অ্যান্টিসেপটিক প্রকৃতির উপাদান হওয়ায় এর থেকে সিজারের অংশে কোনো সংক্রমণের আশঙ্কা নেই। মধুর চটচটে ভাবে অস্বস্তি না-হলে সারাদিনই ওই অংশে মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন।

 

 

 

মানসিক চাপ কমানোর সহজ উপায়
Prev Post মানসিক চাপ কমানোর সহজ উপায়
ঘুমের আগে ত্বকের যত্ন নিবেন যেভাবে
Next Post ঘুমের আগে ত্বকের যত্ন নিবেন যেভাবে

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *