Search

নিজস্ব প্রতিবেদক

  • 0
  • 4 views

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে দলেরই হোক মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধারা পরিবার, আত্মীয়স্বজন সবকিছু ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাদের এই আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৪-২৫’ এর নির্বাচিত ফেলোদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে যার যা কিছু ছিল তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিল। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। তাদের সবসময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। আমি জানি হয়ত অনেকে আমাদের দলের সমর্থনে নাই। অন্য জায়গা চলে গেছে বা অনেকের অনেক কিছু থাকতে পারে। যে যেখানে যাক সেটা আমার বিবেচ্য বিষয় না। আমার বিবেচ্য হলো তারা তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ করে শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় এনে দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাদের সম্মানটা সর্বোচ্চ থাকবে বলে আমি মনে করি।

শেখ হাসিনা বলেন, সবসময় তারা অবহেলিত ছিল। আমি সরকারে আসার পর থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছি। তারা গর্ব করে যেন বলতে পারে আমি মুক্তিযোদ্ধা। আমার মতামতের সঙ্গে নাও থাকতে পারে, আমার দলে নাও থাকতে পারে। তারপরও সে মুক্তিযোদ্ধা। আমার কাছে সবাই সম্মানিত। সেই সম্মানটা যুগ যুগ ধরে এ দেশের মানুষ দেবে, এটাই আমরা চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা হয়েছে এবং তারা তাদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমি চাই যুগ যুগ ধরে দেশের মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা কখনো ব্যর্থ হতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধা যে দলেরই হোক, তাদের সবসময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা সবচেয়ে বেশি মেধাবী। তাদের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সেটাই আমাদের কর্তব্য। সেই সুযোগটি আমরা করে দিতে চাই। সেই কারণে ফেলোশিপটা চালু করেছি।

তিনি বলেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল নির্দিষ্ট করেছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের জনশক্তি স্মার্ট জনশক্তি হবে। আমাদেরকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

ফেলোদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্জিত জ্ঞান দেশের কাজে লাগাবেন। পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। জনগণ যেন সেবা পায় সেটা নিশ্চিত করবেন। ফিরে এসে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আছে, প্রতিবন্ধী আছে, অটিস্টিক আছে এবং তাদের সবার প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল আমরা। তারা যেন সমাজের সব রকম সুযোগ-সুবিধা পায়, তারা যেন পিছিয়ে না পড়ে সেদিকে আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ব পরিবর্তনশীল। তাই আমাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমরা কারও থেকে পিছিয়ে থাকব না, আমরা সবসময় এগিয়ে থাকব। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয়ী জাতি। তাই মাথা উঁচু করে বিশ্বের দরবারে আমরা চলব। সেভাবে আমাদের গড়ে উঠতে হবে।

সরকারি চাকরিজীবী, শিক্ষক, গবেষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৮ সালে চালু করা হয় প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ। এর আওতায় ২০২৪ সালে ৩৭ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ১১ জন পিএইচডি ফেলো আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। আজ নিজ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ফেলোশিপ আ্যওয়ার্ড প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

 

শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
Prev Post শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
গরমে ত্বকের যত্নে যেসব ফলের রস খাবেন
Next Post গরমে ত্বকের যত্নে যেসব ফলের রস খাবেন

Leave a Comment:

Your email address will not be published. Required fields are marked *